সীমান্ত বন্ধ করে শুধু রবিবার লকডাউন, আক্রান্তের সর্বোচ্চ বৃদ্ধির দিনে অদ্ভূত সিদ্ধান্ত দক্ষিণী রাজ্যে

সোমবারই রাজ্যে একদিনে সবচেয়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা

আর এই দিনই কার্যত লকডাউন প্রত্যাহার করল কর্নাটক

\মঙ্গলবার থেকে খুলছে দোকানপাট, গণপরিবহন

তবে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাড়ু এবং কেরল থেকে প্রবেশ নিষিদ্ধ

 

amartya lahiri | Published : May 18, 2020 1:28 PM IST

৫৬ দিন ধরে লকডাউন চলার পর অদ্ভূত সিদ্ধান্ত নিল দক্ষিণভারতের একমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্ণাটক। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বি.এস. ইয়েদুরপ্পা জানিয়েছেন, এদিন থেকে ৩১ মে পর্যন্ত রাজ্যে শুধুমাত্র রবিবার করে লকডাউন জারি থাকবে। মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের কোভিড-১৯ হটস্পট এবং কনটেইনমেন্ট জোন চাড়া রাজ্যের বাকি অংশে সেলুন-সহ সব দোকান এবং বাস পরিষেবা চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাড়ু এবং কেরল - এই চার প্রতিবেশী রাজ্য থেকে কর্নাটকে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সোমবারই কর্নাটকে নতুন ৮৪ জন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যা একদিনে দক্ষিণের এই রাজ্যের ক্ষেত্রে সর্বাধিক বৃদ্ধি। কিন্তু, তারপরেও অনেকটাই শিথিল করা হচ্ছে বিধিনিষেধ। কনটেইনমেন্ট জোন ও হটস্পটের বাইরে সমস্ত সরকারী ও বেসরকারী বাস চলবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রত্যেক বাসে শুধু ৩০ জন করে যাত্রী থাকবে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'আমি জানি লোকসান হবেই। সরকার ক্ষয়ক্ষতি বহন করবে'। কিন্তু, তা কীভাবে হবে, সেই সম্পর্কে কিছু জানাননি তিনি। অটোরিকশা, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব- ও চলার অনুমতি পেয়েছে। সেখানেও যাত্রী সংখ্যার সীমাবদ্ধতা থাকবে।  

রাজ্যের সমস্ত পার্কগুলিও খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে তা খোলা থাকবে শুধু স্বাস্থ্য সচেতনদের হাঁটা বা ব্যায়ামের জন্যই। তাই সকাল ৭টা থেকে ৯টা এবং বিকাল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্তই খোলা থাকবে পার্কের দরজা। বাড়ির বাইরে বের হলে মুখোশ পরা বাধ্যতামূলক। এই আইন না মানলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় জরিমানা করা হবে।

এর পাশাপাশি রবিবার করে রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে। কোনও দোকান খোলা বা লোকজনের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। আর ভিড় বা জমায়েত এড়াতে জিম, হোটেল, শপিং মল এবং সিনেমা হলগুলি বন্ধই থাকবে। হটস্পট এবং রেড জোনে লকডাউন বিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই অঞ্চলগুলির বাসিন্দাদের বাইরে বের হওয়ার অনুমতি নেই। রাজ্যের বাইরে থেকে আসা, তা দেশের অন্য জায়গা থেকে হোক কিংবা বিদেশ থেকে, যাত্রীদের ১৪ দিনের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে পৃথকীকরণে থাকতে হবে।

Share this article
click me!