বোল্টের রেকর্ড ভেঙে দিলেন কর্নাটকের গ্রামের যুবক, দাবি উঠছে অলিম্পিক প্রশিক্ষণের

দৌড় ছেড়ে দিয়েছেন উসেইন বোল্ট।

কিন্তু তাঁকেও চাপে ফেলে দিলেন কর্ণাটকের এক গ্রামবাসী।

মোষের দৌড়ে তিনি ১০০ মিটার দৌড়লেন ৯.৫৫ সেকেন্ডে।

বোল্ট বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন ৯.৫৮ সেকেন্ড সময় করে।

 

বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল প্রতিযোগিতামূলক দৌড় ছেড়ে দিয়েছেন পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম পুরুষ উসেইন বোল্ট। কিন্তু, সম্প্রতি কর্ণাটকের এক গ্রামবাসী তথা কম্বালা জকি এমন কীর্তি করে বসলেন, যে নিজের রেকর্ডগুলো রক্ষা করতে তাঁকে ফের একবার নিজের জুতোজোড়া নামাতে হতে পারে। কম্বালা বা কর্নাটকের ঐতিহ্যশালী মোষের দৌড়ে তিনি জোড়া মোষ নিয়ে ১৪২.৫ মিটার পথ দৌড়েছেন মাত্র ১৩.৬২ সেকেন্ডে।

এতে করে এই ঐতিহ্যবাহী খেলার ইতিহাসে ২৮ বছর বয়সী শ্রীনিবাস গৌড়া ৩০ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দ্রুততম দৌড়বীর হয়েছেন। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দৌড়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই তার তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে বোল্টের সঙ্গে। ১০০ মিটার মাত্র ৯.৫৮ সেকেন্ডে দৌড়ে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন বোল্ট। নেটিজেনরা সহজ পাটিগণিতের হিসাবে বের করেছে, ১০০ মিটার দৌড়তে শ্রীনিবাস গৌড়া সময় নিয়েছেন মাত্র ৯.৫৫ সেকেন্ড। অর্থাৎ বোল্টের থেকেও ০.০৩ সেকেন্ড কম সময় নিয়েছেন তিনি।

Latest Videos

অনেকে বলতে পারেন, এই তুলনা ভিত্তিহীন। কারণ বোল্ট দৌড়েছেন নিজের পায়ের জোরে। আর কম্বালা জকি শ্রীনিবাসের গতির পিছনে তার জোড়া মোষের শক্তিও ছিল। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, বোল্ট বিশেষ ক্রীড়া জুতো পরে, ট্র্যাকে দৌড়েছেন। আর শ্রীনিবাস-কে দৌড়তে হয়েছে কাদা-জলে মাখামাখি মাঠে। ফলে বোল্টের সঙ্গে শ্রীনিবাসের তুলনা অমূলক বলা যাবে না।

এই দুর্দান্ত কীর্তির পর দারুণ খুশি ২৮ বছরের শ্রীনিবাস। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দৌড় যে এত মানুষকে আনন্দ দেবে তা তিনি ভাবতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন ভালোবাসার টানেই তিনি কম্বলা দৌড়ান। সাফল্যের কৃতিত্ব তিনি নিজে নিতে নারাজ। তাঁর মতে তাঁক মোষদুটিই খুব ভালো দৌড়েছে। তিনি শুধু তাড়া দিয়েছেন, আর তাদের চালিত করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই অবিশ্বাস্য কীর্তি ভাইরাল হয়েছে। বিশ্বজুড়ে কয়েক হাজার মানুষ এটি শেয়ার করেছেন। কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে সরকার-কে পরামর্শ দিয়েছেন শ্রীনিবাস-কে অলিম্পিক দৌড়ের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য।

কম্বালা কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোর এবং উদুপী অঞ্চলের অত্যন্ত প্রাচীন এক খেলা। সেরা প্রশিক্ষিত মোষদের নিয়ে দৌড় লাগান যুবকরা। কর্নাটকের বহু গ্রামেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তবে এই খেলায় জকিরা মোষদের জোরে দৌড় করাতে চাবুক মারে বলে আপত্তি তোলেন প্রাণী অধিকার কর্মীরা। তাতে কয়েক বছর আগে এই খেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে, কর্ণাটকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া একটি বিশেষ আইন পাস করে কম্বালা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছিলেন। অনেক জায়গায় এই কম্বলা প্রতিযোগিতায় কয়েক লক্ষ টাকার পুরষ্কার থাকে।  

 

 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |
পুলিশের তৎপরতায় বানচাল ডাকাতির প্ল্যান! গ্রেফতার ২ অপরাধী, চাঞ্চল্য Birbhum-এ
West Bengal-এ জঙ্গিযোগ নিয়ে Mamata Banerjee-কে চরম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর! দেখুন কী বললেন
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন