কার্পুরী ঠাকুর ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাকে ২৬ মাস কারাগারে থাকতে হয়েছিল। তিনি ২২ ডিসেম্বর ১৯৭০ থেকে দোসরা জুন ১৯৭১ এবং ২৪ জুন ১৯৭৭ থেকে ২১ এপ্রিল ১৯৭৯ পর্যন্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন
ভারতের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কার্পুরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দেওয়া হবে।কার্পুরী ঠাকুরের জনপ্রিয়তার কারণে তাকে জননায়ক বলা হতো। তিনি বিহারের সমষ্টিপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মশতবর্ষের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি ভবনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদীর বার্তা
এই ঘোষণায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন রাষ্ট্রপতি ভবনের এই ঘোষণায় তিনি খুশি। দেশের অন্যতম জন নায়ক কার্পুরি ঠাকুর এই সম্মানের যোগ্যতম ব্যক্তি।
জননায়ক কার্পুরী ঠাকুর একজন মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কার্পুরী ঠাকুর, বিহারের দ্বিতীয় উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং তারপরে দুবার মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হন। তবু রাজনৈতিক জীবনে তাঁর নীতিগুলি ত্যাগ করেননি। এই কারণে তিনি একজন সত্যিকারের নায়ক হয়ে ওঠেন। কার্পুরী ঠাকুর ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাকে ২৬ মাস কারাগারে থাকতে হয়েছিল। তিনি ২২ ডিসেম্বর ১৯৭০ থেকে দোসরা জুন ১৯৭১ এবং ২৪ জুন ১৯৭৭ থেকে ২১ এপ্রিল ১৯৭৯ পর্যন্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শে জীবনযাপনকারী কার্পুরী ঠাকুরের মতো একজন ব্যক্তি খুবই বিরল রাজনৈতি ব্যক্তিত্ব।
ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয় আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন
কার্পুরী ঠাকুর বিহারের সমষ্টিপুর জেলায় ১৯২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নাপিত পরিবারের সদস্য ছিলেন। তাঁর পিতা গোকুল ঠাকুর ছিলেন একজন কৃষক। কর্পুরী ঠাকুর গ্রামেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর তিনি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। কর্পুরী ঠাকুর ছাত্রাবস্থা থেকেই জাতীয় আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
১৯৫২ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হন
তিনি ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন এবং ২৬ মাস জেলে ছিলেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালে, কার্পুরী ঠাকুর প্রথমবারের মতো বিহার বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সমাজতান্ত্রিক দলের টিকিটে তাজপুরী বিধানসভা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। এরপর তিনি টানা চারবার বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে, তাকে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হয় এবং ১৯৭০ সালে, কর্পুরী ঠাকুর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন। তিনি দরিদ্র ও দলিতদের জন্য অনেক কল্যাণমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছিলেন। বিহারে প্রথমবারের মতো অলাভজনক জমির উপর রাজস্ব কর বাতিল করা হয়েছিল যখন কার্পুরী ঠাকুর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।