কেন্দ্র সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রনয়নের পর থেকেই দেশ জুড়ে চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে পথে নেমেছ বিজেপি বিরোধী দলগুলিও। এবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধিতায় নজির গড়ল কেরল। দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যেই দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের প্রস্তাব পাশ হল কেরল বিধানসভায়।
আরও পড়ুন: দেশের নতুন সেনা প্রধান হলেন জেনারেল মুকুন্দ নরাভানে , অবসরের দিনেই সিডিএস হলেন রাওয়াত
মঙ্গলবার বছরের শেষদিন রাজ্য বিধানসভায় নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাবটি পেশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। মুখ্যমন্ত্রীর আনা প্রস্তাব একযোগে সমর্থন করে বিরোধীরাও। একমাত্র বিজেপি বিধায়ক রাজাগোপাল ছাড়া বাকি সকলেই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের আনা প্রস্তাবকে সমর্থন করেন।
মঙ্গলবার কেরল বিধানসভায় একটি বেশষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। মূলত তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণের মেয়াদ আরও এক দশক বাড়ানোর জন্য এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। কিন্তু নাগরিকত্বা আইনের বিরোধিতার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে এদিনই প্রস্তাব পেশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : ১০ বছরে মাত করেছে যে সব গ্যাজেট ও অ্যাপস, দেখে নিন এক ঝলকে
প্রস্তাব পেশের সময় বিজয়ন বলেন, “সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী। আইনটি সংবিধানের মূল ধারণাকেই খণ্ডন করছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরেই ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে যায় এই রেজোলিউশন। এর আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। এনআরসিতে আপত্তি জানানোর পাশাপাশি রাজ্যে এনপিআর পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজয়ন।
এদিকে কেরলের একমাত্র বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজাগোপাল এদিন বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, "এই আইন প্রত্যাহারের দাবি সংকীর্ণতার লক্ষণ।" তবে তাঁর বিরোধিতা ধোপে টেকেনি।