
কেরলের বিখ্যাত পদ্মনাভ স্বামী মন্দির ঘিরে ৯ বছর ধরে চলে আসা বিবাদের নিষ্পত্তি হয় সোমবার। মন্দিরের দায়িত্ব পাচ্ছে রাজপরিবারের সদস্যরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর স্বস্তি ফিরল ত্রাভনকোর পরিবারের সদস্যদের। গত ২০১১ সালে কেরল হাইকোর্ট মন্দিরের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের নেতৃত্বাধীন একটি ট্রাস্টের হাতে থাকবে বলেই রায় দিয়েছিল। এদিন এই রায় বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
গৃহ দেবতা এই রায়ে খুশি হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পরই জানিয়েছেন ত্রাভানকোর রাজপরিবারের রাজকন্যা গৌরি লক্ষ্মীবাই।
তিরুবন্তপুরমের প্রাণকেন্দ্র ষষ্ঠ শতকের তৈরি হয়েছিল পদ্মনাভ স্বামীর মন্দির। দীর্ঘ দিন ধরেই ভক্তবৃন্দের অবাধ বিচরণ এই তীর্থস্থানে। এদিন রায় ঘোষণার পরই ভক্তরাই উৎসাহিত হয়ে পড়েন। রায়কে স্বাগত জানিয়েছে কেরলের পিনারাই বিয়জন সরকারও।
এই মন্দিরে প্রচুর ধনরত্ন সঞ্চিত রয়েছে বলে গুজব ছিল। ২০১১ সালে কেরল হাইকোর্টের একটি নির্দেশে মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তির একটি তালিকা চাওয়া হয়েছিল। তারপরই এই মন্দির ঘিরে আলোচনা বাড়তে থাকে। আদালতের রায়ের পরই মন্দিরের ৫-৬টি রত্নভাণ্ডার খোলা হয়। মালায়লমে সেগুলিকে কল্লার বলে। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৯০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়ও উদ্ধার করা হয়েছিল প্রচুর সোনার দ্রব্যাদি। একাধিক মূল্যবান সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় রত্নভাণ্ডার খুলতে পারা যায়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বৈঠকে গরহাজির 'বিদ্রোহী' শচীন পাইটল, ঘনিষ্ঠরা বলল এখনই বিজেপিতে যাচ্ছেন না .
করোনা পরবর্তী বিশ্বে শৈশব হারিয়ে যাবে বলেই আশঙ্কা, স্কুলের পাঠ চুকিয়ে দেবে ১ কোটি পড়ুয়া ...
২০১১ সালে কেরল হাইকোর্টের নির্দেশ মতই মন্দির কার্যভার পরিচালনা করছিল ট্রাস্ট। কিন্তু ২০১২ সালে ট্রাস্টের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৪ সালে একটি প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়েছিল। তাই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বভাবত খুশির হাওয়া রাজপরিবারের সদস্যদের মধ্যে।
১৯৪৯ সালের চুক্তি অনুয়ায়ী, ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গ হিসেবে গণ্য হয় ত্রাভানকোর রাজ্যটি। সেই সময়ের চুক্তি অনুযায়ী পদ্মনাভ স্বামী মন্দিরের দায়িত্ব রাজপরিবারের সদস্যদের হাতে থাকবে বলে বলা হয়েছিল।