স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এক নতুন হেল্থ কার্ডের কথা
কী সুবিধা পাওয়া যাবে এই হেলথ কার্ডে
কোথায় কাজে লাগবে এই কার্ড
কীভাবে তৈরি করা যাবে ডিজিটাল হেল্থ কার্ড
জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন একটি ডিজিটাল স্বাস্থ্য বাস্তুসংস্থান। এর অধীনে প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিক একটি অনন্য স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র পাবেন। সেই পরিচয়পত্রের অধীনে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধার জন্য ওই নাগরিকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডারে রাখা থাকবে।
জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে স্বাস্থ্যের রেকর্ড ডিজিটাল করার বিষয়টি একটি অনন্য হেল্থ আইডি তৈরির মাধ্যমে শুরু করা হবে। কোনও ব্যক্তির একেবারেই প্রাথমিক কিছু বিবরণ এবং মোবাইল নম্বর বা আধার নম্বর ব্যবহার করে তৈরি করা যাবে এই হেলথ আইডি কার্ড। এর জন্য কোনও কার্ড নয়, বরং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন-এর আকারে তৈরি করা হবে এই স্বাস্থ্য আইডি।
প্রতিটি হেলথ আইডি জাতীয় ডিজিটাল হেলথ মিশন বা এনডিএইচএম-এর মতো হেলথ ডেটা কনসেন্ট ম্যানেজারের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য, প্রেসক্রিপশন এবং যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট থেকে শুরু করে আগে কখনও হাসপাতালে ভর্তি হলে তারও তথ্য থাকবে। রোগীর সম্মতি অনুসারে এইসব স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য ব্যবহার করা হবে।
স্বাস্থ্য আইডি তৈরি করাটা অবশ্য একেবারেই বাধ্যতামূলক হবে না। সরকারের অবশ্য আশা, এমনিই বহু ভারতীয় এই আইডি তৈরি করবেন। এই আইডি ভারতের সব রাজ্যে, হাসপাতালে, ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি এবং ফার্মাসিগুলিতে কার্যকর হবে।
প্রাথমিকভাবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, চণ্ডিগড়, দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ, লক্ষদ্বীপ, লাদাখ এবং পুদুচেরি-র মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে।
তবে এই ক্ষেত্রে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তথ্য সুরক্ষা নিয়ে। রোগীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য অসৎ লোকের হাতে গেলে তা বিপদের কারণ হতে পারে। তবে সরকার জানিয়েছে, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যগুলি শুধুমাত্র কোনও ব্যক্তির অনুমোদন দিলে তবেই শেয়ার করা হবে। সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রোগীর কাছেই থাকবে।