ওয়েটিং লিস্টে আছে ট্রেনের টিকিট? কীভাবে কনফার্ম করা যাবে? জেনে নিন উপায়

দেশে যখন কোনও উৎসবের মরসুম থাকে, সেই সময় দূরপাল্লার ট্রেনের কনফার্ম টিকিট পেতে কালঘাম ছুটে যায়। এবার শীতকালেও একই ঘটনা দেখা যাচ্ছে।

ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিট শেষপর্যন্ত কনফার্ম হবে কি না, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা থাকে না। এই কারণে অনেকেই কনফার্ম টিকিট না পেলে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন বা বিকল্প পথ বেছে নেন।

ট্রেনের টিকিটের ওয়েটিং লিস্টে যদি ১০০-এর পরে নাম থাকে, তাহলে সেই টিকিট কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ওয়েটিং লিস্ট ৫০০ হলে তো টিকিট কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এখন দেশে অনেক সংস্থাই হোটেল, গাড়ির পাশাপাশি ট্রেন, উড়ানের টিকিট বুকিংও করে দেয়। কিন্তু এই সংস্থাগুলি ট্রেনের কনফার্ম টিকিট দিতে পারবে কি না সে বিষয়ে নিশ্চয়তা থাকে না।

রেলের পক্ষ থেকে ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিট কনফার্ম করার জন্য বিশেষ পদ্ধতির কথা জানানো হয়েছে।

রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতি ট্রেনে গড়ে ২১ শতাংশ যাত্রী টিকিট বাতিল করেন। সেক্ষেত্রে ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিট কনফার্ম হয়ে যায়। স্লিপার কোচে থাকা ৭২ আসনের মধ্যে ১৪ আসন ফাঁকা হয়ে যায়। এছাড়া ৪ থেকে ৫ শতাংশ যাত্রী নানা কারণে নির্দিষ্ট ট্রেনে চড়েন না। ফলে সেই আসনগুলিও ফাঁকা হয়ে যায়।

চিকিৎসা বা অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনের জন্য ভারতীয় রেল সব ট্রেনেই ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করে রাখে। এই আসনগুলিতে যদি বুকিং দেওয়া হয়, তাহলে ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিট কনফার্ম হয়ে যায়।

রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনও যাত্রী যদি কনফার্ম টিকিট পাওয়ার জন্য আইআরসিটিসি-র বিকল্প স্কিমে আবেদন করেন, তাহলে একই রুটের অন্য ট্রেনে যাত্রা করার সুযোগ পেতে পারেন।

আইআরসিটিসি-র বিকল্প স্কিমে আবেদন করলেই যে কনফার্ম টিকিট পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিচ্ছে না রেল। তবে সম্ভাবনা থাকছে।

রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি কামরায় ১৮টি করে ওয়েটিং লিস্টের টিকিট কনফার্ম হতে পারে। ফলে কামরায় যাত্রী সংখ্যা অনুযায়ী ওয়েটিং লিস্টের তালিকা দেখে নিতে হবে। ওয়েটিং লিস্টে প্রথম ২০ জনের মধ্যে নাম থাকলে কনফার্ম টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।