এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মায়াঙ্ক কুমার জৈনির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে রায় ঘোষণা করেছে। প্রায় দুই মাস রায় সংরক্ষণ করা ছিল। ৬ জুনই এই মামলার শেষ শুনানি হয়েছিল।
কৃষ্ণ জন্মভূমি মামলায় কোনঠাসা মুলসিম পক্ষ। বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট ১৩.৩৭ একর কমপ্লেক্স থেকে মসজিদ নিয়ে মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। মসজিদটি কাটরা কেশব দেব মন্দির লাগেয়া অবস্থায় রয়েছে। মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার জন্য হিন্দু পক্ষের একাধিক সংস্থা বা ব্যক্তি এখনও পর্যন্ত ১৮টি মামলা দায়ের করেছে। ১৮টি মামলাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুসলিম পক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ অগাস্ট।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মায়াঙ্ক কুমার জৈনির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে রায় ঘোষণা করেছে। প্রায় দুই মাস রায় সংরক্ষণ করা ছিল। ৬ জুনই এই মামলার শেষ শুনানি হয়েছিল। আদালতের পর্বেক্ষণ যে,১৮টি মামলার রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য। একই ভাবে তাদের যোগ্যাতার ভিত্তিতে তাদের শুনানির পথ পরিষ্কার করে। বেঞ্চ জানিয়েছে, হিন্দু উপাসক ও দেবতার দ্বারা দায়ের করা মামলাগুলি অন্যান্য আইনগুলির মধ্যে সীমাবদ্ধতা আইন বা ুপাসনার স্থান আইনের অধীনে নিষিদ্ধ নয়।
রায়টি ম্যানেজমেন্ট ট্রাস্ট শাহী মসজিদ ইদগাহ (মথুরা) কমিটি প্রাথমিক যুক্তি খণ্ডন করে যে মুলতুবি মামলাগুলি উপাসনার স্থান আইন ১৯৯১, সীমাবদ্ধতা আইন ১৯৬৩, এ নির্দিষ্ট ত্রাণ আইন ১৯৬৩ দ্বারা নিষিদ্ধ। মুলসিম পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী তসলিমা আজিজ আহমাদি আদালতে বলেছেন, যে ওয়াকফ বোর্ডের বিধান প্রযোজ্য হবে। এটি ওয়াকফ ট্রাইব্যুনাল, যার এখতিয়ার রয়েছে বিষয়টি শোনার। এরই পাল্টা হিন্দু যুক্তিবাদী যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে শাহ ইদগাহের নামে কোনও সম্পত্তি সরকারি নথিতে নেই, অবৈধ দখলের অভিযোগও রয়েছে। তারা আরও দাবি করেছে, সম্পত্তিটি ওয়াকফ বলে দাবি করা হলেও ওয়াকফ বোর্ডকে অবশ্যি বিতর্কিত সম্পত্তির দাতাতে প্রকাশ করতে হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।