সোমবার ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে ১১ ঘণ্টার বৈঠক
বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েয়েছে বলে সূত্রের খবর
গঠনমূলক পরিবেশে হয় বৈঠক
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা মেটাতে সোমবার অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় দফার সামরিক পর্যায়ের বৈঠক। এই বৈঠকে দুই দেশেরই লেফ্যানেন্ট স্তরের সেনা আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সেনা বাহিনী সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখ সীমান্তের ওপারে চিনের মোলডোতে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ দুই দেশের সেনা কর্তারা আলোচনায় বসেছিলেন। সেনা বাহিনী সূত্রে খবর এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
সূত্রের খবর দুই দেশের সেনা কর্তাদের মধ্যে প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন বৈঠক চলে। সীমান্ত থেকে সামরিক বাহিনীর দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আর সেই আলোচনায় উভয় দেশই সহমত পোষণ করেছে। বিষয়টি সমাধানে দুইদেশই সচেষ্ট হবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু সামরিক পর্যায়ের এই বৈঠক নিয়ে এখনও কেন্দ্রীয় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও কিছু ঘোষণা করেনি। সূত্র মারফত জানা গেছে পূর্ব লাদাখ সীমান্তের একাধিক অঞ্চল, যেখানে ভারতী ও চিনা সেনারা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে তা নিয়েও আলোচনা করেছে। সেই এলাক থেকে সেনা বাহিনীকে নিষ্ক্রীয় করার ক্ষেত্রে দুই দেশই সহমত পোষণ করেছে।
যার অর্থ ভারত ও চিন দুই সেনাবাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর আর্টিলারি ও বর্মগুলিকে সরিয়ে দেওয়ার কাজ করবে। পাশাপাশি প্যাংগন লেক এলাকায় ৪ নম্বর ফিঙ্গার থেকে চিনকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে। কারণ এই ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে পড়ে বলে দাবি করা হয়েছে। ৪-৮ নম্বর ফিঙ্গার ধূসর অঞ্চল হিসেবে বর্ণিত। এই এলাকায় তৈরি হওয়া চিনা দূর্গ বাঙ্কার ও পোস্টগুলিও সরিয়ে ফেলতে হবে চিনকে।
৭ দিনের মধ্যেই বাজারে আসতে চলছে 'করোনিল', ওই ওষুধে করোনা সারবে বলে দাবি রামদেবের ...
বৈঠকের পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় সেনা কর্তা জানিয়েছেন, গঠনমূলক পরিবেশে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। গালওয়ান সংঘর্ষের পর এই বৈঠককে সৌজন্যমূলক বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি। তবে এই বৈঠকের পর ভারত আর চিন উভয় দেশই সীমান্ত থেকে সৈন্য সরিয়ে নেবে কি? এটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছ। কারণ লাদাখ সীমান্তে বায়ু সেনা প্রধানের পর এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সফর করছেন সেনা বাহিনীর প্রধান এমএম নারাভানে। তিনি গালওয়ানের ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট ঘুরে দেখবেন বলেই সূত্রের খবর। লে-র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গেও দেখা করবেন।
করোনা লড়াইয়ে আত্মনির্ভরতার নজির কেন্দ্রের, পিএম কেয়ার্স ফান্ডের টাকায় ভেন্টিলেটর ...
গত ৬ জুন দুই দেশের মধ্যে সামরিক বৈঠক হয়েছিল। তারপর দশ দিন কাটতে না কাটতেই গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। যার কারণে ভারতের ২০ জওয়ান নিহত হয়। এর আগে ৫ মে প্যাংগন টসো এলেকায় ভারত ও চিনা সৈন্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল।