মঙ্গলবার ভারত-চিন তৃতীয় দফার বৈঠক লাদাখে, গালওয়ানে চিনা সেনার 'অনুপ্রবেশ' নিয়ে কি কথা হবে

মঙ্গলবার ভারত চিন সামরিক পর্যায়ের বৈঠক
মোলডোতে হবে বৈঠক
চিনা সেনার অনুপ্রবেশ নিয়ে  কথা হতে পারে 
সীমান্তে চিনের অনুপ্রবেশ চলছে বলেই অভিযোগ

Saborni Mitra | Published : Jun 29, 2020 1:28 PM IST / Updated: Jun 29 2020, 07:14 PM IST

লাদাখ ইস্যুতে মঙ্গলবার ভারত ও চিন তৃতীয় দফার বৈঠক করবে।  দুই দেশের কমান্ডার পর্যায়ের আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন বৈঠকে। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বৈঠক শুরু হতে পারে। সূত্রের খবর এর আগেও দুবার ভারত ও চিন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক করেছিল সীমান্ত সমস্যা সমাধান করতে। এই নিয়ে তৃতীয়বার সামরিক বৈঠকে মুখোমুখি হতে চলেছে দুই দেশ।  সেনা বাহিনী সূত্রের খবর লাদাখের চুসুলে  হবে বৈঠক। যা ঠিক মোলডোর বিপরীতে অবস্থিত। গত দুবার ভারত চিন সামরিক পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল চিনের মোলডোতে। 


১৬ জুন গালওয়ানের ১৪ পোস্ট এলাকায়  ভারত ও চিনা সেনারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে ছিল। তার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কথা বলেছিলেন দুই দেশের সেনাকর্তারা। কিন্তু তারপরেও চিনা সেনার নির্মম অত্যাচারে রক্ত ঝরেছিল ভারতীয় বাহিনীর। গালওয়ান সংঘর্ষের পরেও দুই দেশ কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে সামিল হয়েছিল।দ্বিতীয় দফায়  প্রায় ১১ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকও হয়। সীমান্তে শান্তি ও সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে দুই দেশই সহমত হয়েছিল বলেই সূত্রের খবর। কিন্তু তারপরেও স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যাচ্ছে অন্যছবি। পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ চলছে বারবার সামনে আসছে সেই তথ্য। 


বেসরকারি সংস্থার স্যাটেলাইট ইমেজ ঘিরে তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াসা। সদ্যো প্রকাশিত বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যাচ্ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখার ওপারে চিনা সেনা রীতিমত সক্রিয়। সামনে এসেছে চিনা সেনার বাঙ্কার ও  সমর যানের ছবি। স্যাটেলাইট ইমেজের তথ্য বিচার করে সমর বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে  প্রবেশ করেছে চিনা সেনা। একই দাবি লাদাখের বিজেপি নেত্রীর। স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে এক সমর বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন গালওয়ান সংলগ্ন এলাকায়  চিন ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৪২৩ মিটার ভিতরে প্রবেশ করেছে। এক অবসরপ্রাপ্ত বিদেশ সচিবের মতে ১৯৬০ সালেও ওই এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে চিন। কিন্তু সেই সময় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তারপর থেকে দীর্ঘ দিন গালওয়ান সংলগ্ন এলাকায় থেকে নিজের দূরে রেখেছিল লালফৌজ। মাঝে মধ্যে ১৪ নম্বর পেট্রোল পয়েন্টে টহল দিলেও তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। অথচ সম্প্রতি এই এলাকায়ই ফ্ল্যাস পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। 

Share this article
click me!