অষ্টম পর্বের সামরিক বৈঠকেই কি মিটবে ভারত-চিন সীমান্ত বিবাদ, বেজিং-এর দাবি কি মানা হবে

  • চলতি সপ্তাহে হতে পারে ভারত চিন বৈঠক 
  • অষ্টম পর্বের বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু
  • চিনের দাবি আগে সামরিক ইউনিট প্রত্যাহার 
  • বর্তমানে ভারত রয়েছে ভালো অবস্থানে 
     

Asianet News Bangla | Published : Oct 18, 2020 10:08 PM IST

লাদাখ সমস্যা সমাধানে চলতি সপ্তাহে আবারও বৈঠকে বসেত পারে ভারত ও চিনে সেনা কর্তারা। সূত্রের খবর ইতিমধ্যে দুই দেশে কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের বৈঠকের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সেনা পর্যায়ের আগামী যে বৈঠকটি হবে সেটি হবে আট নম্বর কমান্ডার লেভেলের বৈঠক। একাধিকবার বৈঠকের পরেও এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। দুটি দেশের সেনা বাহিনীর ১ হাজার ৫৯৭ কিলোমিটার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা বরাবর অবস্থান করছেন। দুই দেশের সেনা বাহিনী প্রবল ঠান্ডা আর তুষারপাত উপেক্ষা করে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। 

উৎসব থেকে সাবধান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে শীতকালে বললেন বিশেষজ্ঞরা ..

বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিনে কংগ্রেসের কর্মসূচি, মোদীকে নিশানা করে ঘোষণা সনিয়ার ...
এক সেনা কর্তার কথায়, আরও লাদাখ সমস্যা সমাধানে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আর সেই কারণেই ভারত এখনও পর্যন্ত সামারিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার দরজা খুলে রেখেছে। তবে প্রথম থেকেই ভারত দাবি জানিয়ে আসছিল এপ্রিল মাসের আগের অবস্থায় চিনা সেনাদের ফিরে যেতে হবে। বেশ কয়েকটি এলাকায় সেই দাবি মেনে নিয়েও এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি এলাকায় নিজের অনড় মনোভাব বজায় রেখেছে চিন। তবে বর্তমানে চিনা সেনা যে প্রস্তাব দিয়েছে তা হল প্রথমে আর্টিলারি ও সমারযান সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু ভারত স্পষ্ট জানিয়ে সাঁজোয়া ইউনিট একসঙ্গে পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে। না। তাতে বিরোধী পক্ষ সুবিধে পাবে বলেও মনে করছে সেনা কর্তাদের একটি অংশ। 


সেনা কর্তাদের মতে ভারত প্যাংগংসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় যথেষ্ট সুবিধেজন অবস্থানে রয়েছে। কৌশলগত কারণেও অনেকটা এগিয়ে রয়েছে ভারত। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ভারত সাঁজোয়া ইউনিট প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে আগামী বছর এপ্রিল মাস পর্যন্ত কোনও খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে তা রুখে দিতে পারবে না ভারতীয় সেনা। কারণ আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত তুষারপাতের কারণে অপরুদ্ধ হয়ে পড়বে ভারতী জওয়ানরা। কারণ প্রবল তুষারপাতের কারণে প্যাংগং লেকের দক্ষিণ থেকে চাংলা পর্যন্ত পুরো রাস্তা বন্ধ থাকে। অন্যদিকে তুষারপাত হলেও সুবিধে পাবে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। কারণ কাশঘর মগাসড়কটি মার্সিমিক লা আর কোঙ্গকা লা থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।  গত জুন মাসে গ্যালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে ভারতীয় জওয়ানরা রীতিমত কষ্ট করে রেজিংলা আর রেচিং লার রিজলাইন দখল করেছে। পাশাপাশি কৌশলগত অবস্থানেও অনেকটা এগিয়ে রয়েছে চিনা সেনার এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে এখনও সাঁজোয়া ইউনিট প্রত্যাহার করা যুক্তি সংগত নয় বলেও মনে করেছেন সেনা কর্তারা। 

Share this article
click me!