অনুপ্রেরণায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির পথেই চললেন রোহিত আর্য

Published : Jul 14, 2024, 04:04 PM IST
Avhijit Gangopadhyay, Rohit Arya,

সংক্ষিপ্ত

রাজ্যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচার পদ্ধতি আর রায় নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সর্বদাই দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার ওপর জোর দিতেন। তাঁরই মত বিতর্কিত ছিলেন রোহিত আর্য। 

কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা রাজ্যের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তাঁর অনুপ্রেরণা বলা যেতেই পারে। তিনি মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি রোহিত আর্য। যদিও মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট চত্ত্বরে রোহিত আর্যকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেও অনেকেই কানাঘুষো করে থাকেন। তাঁর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতই রোহিত আর্যের একাধিক রায় দিয়ে যেমন চর্চা হয় তেমনই বিতর্কও হয়। এবার তিনি আরও এক বিতর্কিত পদক্ষেপ করেন। শনিবার ভোপালে মধ্যপ্রদেশ রাজ্য বিজেপির সভাপতির হাত ধরে সটান যোগ দেন বিজেপিতে। যদিও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মত তিনি ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেননি। অবসরের দুই মাস পরেই তিনি রাজনীতিতে যোগ দিলেন। তবে আপাতত তাঁর ভোটে দাঁড়ানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। মধ্য প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও এখনও অনেকটাই বাকি রয়েছে।

এই রাজ্যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচার পদ্ধতি আর রায় নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সর্বদাই দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার ওপর জোর দিতেন। পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কঠোর রায় দিতেও পিছপা হননি। যা নিয়ে অনেক আলোচনা -সমালোচনা হয়েছে। তেমনই রোহিত আর্যের বিচার প্রক্রিয়া আর রায় নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। তাঁর বিতর্কিত রায়গুলির একটি হল ২০২০ সালে একটি শ্লীলতাহানি মামলায় আক্রান্ত মহিলার বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্তকে রাখী পরিয়ে আর মিষ্টি খাইয়ে আসার শর্তেই জামিন দিয়েছিলেন। যদিও সেই রায় খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। অন্যদিকে বিখ্যাত কৌতুক শিল্পী মনওয়ার ফারুকি জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। মনুয়ার শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে জামিন পান। সেই সময় এই নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। এবার আবারও বিচারপতির চাকরি শেষে বিজেপিতে যোগ দিলেন। সম্প্রতি বিচারপতিদের একের পর এক বিজেপিতে যোগ দান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যার প্রভাব বিচার ব্যবস্থায় পড়তে পারে বলেও অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

১৯৮৪ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন রোহিত আর্য। ২০০৩ সালে প্রবীণ আইনজীবীর স্বীকৃতি পান। দেওয়ানি, কোম্পানি, শিল্প সংক্রান্ত মামলায় পারদর্শী ছিলেন রোহিত। আইনজীবী হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ২০১৩ সাল থেকেই বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন। ২৭ এপ্রিল মধ্যেপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেন তিনি।

PREV
click me!

Recommended Stories

নতুন শ্রম আইনে আপনার বেতনের পরিমাণ খুব বেশি কমবে না,কারণ জানাল মন্ত্রক
যাত্রীদের সমস্যার 'ক্ষতে' ১০০০০ টাকার 'মলম'! IndiGo ভাউচার ঘোষণা করল