বৃহস্পতিবারই ২০১৪ সালে গঠিত মহারাষ্ট্র বিধানসভার শেষদিন। এদিনও সরকার গঠন করতে না পারলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে হবে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে এলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা নীতিন গড়করি। এদিকে এদিন সকালে শিবসেনার বিধায়করা বৈঠকে বসেছে ঠাকরেদের বাসভবন মাতশ্রীতে। সব মিলিয়ে শেষ লগ্নে একেবারে টানটান মহারাষ্ট্রের মহানাটক।
দিন দুয়েক আগেই শিবসেনা নেতা তিওয়ারি, নীতিন গড়করির মাধ্যমেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে চিঠি লিখে হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের। তারপর থেকে রটে যায় গড়করির হাতেই রয়েছে মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনের চাবিকাঠি। শুধু তাই নয়, তিনিই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, এমন কথাও ওঠে।
তবে রাজ্যে এসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সব জল্পনায় ইতি টেনেছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফেরার আর ইচ্ছে নেই তাঁর। তিনি দিল্লিতেই থাকবেন। তবে, শিবসেনার সমর্থনেই বিজেপি মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করবে এই দাবিও করেন তিনি। শিবসেনা নেতাদের সঙ্গে তাঁদের কথা চলছে। খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে ঘোষণা করা হবে। এই বিষয়ে আরএসএস বা মোহন ভাগবত কোনওরকম মধ্যস্থতা করেন না বলেও দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে এদিন মাতশ্রীতে বসেছে শিবসেনার বৈঠক। শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সরকার গঠন ও তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে এসেছেন শিবসেনার সব বিজয়ী বিধায়ক। রয়েছেন অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও। সামনাসামনি কিছু না বললেও, আড়ালে শিবসেনা নেতারা বলছেন, তাঁদের দাবি না মিটলে বিজেপি রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আসন জেতার সুবাদে একাই সরকার গঠনের দাবি জানাক। শিবসেনা তাতে যোগ দেবে না। প্রসঙ্গত এদিনই বিজেপির প্রতিনিধি দলের দেখা করার কথা মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের সঙ্গে।
এই অবস্থায় মহারাষ্ট্রে সরকার গঠের বেশ কয়েকটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে -
এক, বিজেপি, শিবসেনার ৫০-৫০ ফর্মুলা মেনে নেওয়ায় দ্বন্দ্ব মিটল এবং দুই এনডিএ শরিক সরকার গঠন করল।
দুই, বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন জেতায় একক ভাবে সরকার গঠন করল।
তিন, শিবসেনা-এনসিপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করল তাদের বাইরে থেকে সমর্থন দিল কংগ্রেস। এই সম্ভাবনা অবশ্য খুবই কম। বুধবারই শরদ পওয়ার জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা বিরোধী আসনেই বসতে চান।
চার, অচলাবস্থা জারি থাকল। কোনও পক্ষই নিজের অবস্থান থেকে সরল না। জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন।