Pune Tragedy: টাকার অভাবে হল না চিকিৎসা, লতা মঙ্গেশকরের বাবার নামাঙ্কিত হাসপাতালে মৃত্যু গর্ভবতীর

সংক্ষিপ্ত

Dinanath Mangeshkar Hospital: বেসরকারি হাসপাতালে টাকার অভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করার ঘটনা নতুন নয়। অনেক সময়ই অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। এবার পুণেতে এরকমই এক মারাত্মক ঘটনা ঘটল।

Pune Pregnant Woman Death: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পুণের (Pune) দীনানাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালে (Dinanath Mangeshkar Hospital) এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) বাবার নামাঙ্কিত হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল সাধারণ মানুষকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানেই টাকার সমস্যার জন্য চিকিৎসা না পেয়ে এক গর্ভবতীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতার নাম তানিশা ভিসে (Tanisha Bhise)। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, একসঙ্গে বিপুল অর্থ জোগাড় করতে না পারায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা করতে অস্বীকার করেন। ফলে চিকিৎসার গাফিলতিতে তানিশার মৃত্যু হয়। এই যুবতীর গর্ভে যমজ সন্তান ছিল। গর্ভাবস্থায় হঠাৎ বেশি সমস্যা হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর স্বামী সুশান্ত ভিসে, যিনি মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের সদস্য অমিত গোরখের ব্যক্তিগত সচিব, তাঁর দাবি হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য ১০ লক্ষ টাকা অগ্রিম হিসেবে চেয়েছিল। তিনি তখনই আড়াই লক্ষ টাকা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন। পরে বাকি টাকা দেবেন বলেছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা শুরু করতে অস্বীকার করে। চিকিৎসায় দেরি হওয়ার কারণে তানিশাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

কী বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?

Latest Videos

দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালের জনসংযোগ আধিকারিক রবি পালেকরের দাবি, 'সংবাদমাধ্যমে যে তথ্য জানানো হয়েছে তা অসম্পূর্ণ। আমরা অভ্যন্তরীণ তদন্ত রিপোর্ট রাজ্য প্রশাসনের কাছে জমা দেব।' এরই মধ্যে পুণে পুলিশ এই মামলায় পরিবারের বক্তব্য রেকর্ড করেছে এবং বলেছে যে সরকারের মেডিক্যাল কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর এই ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে।

ক্ষুব্ধ বিধান পরিষদের সদস্য

বিধান পরিষদের সদস্য অমিত গোরখে দাবি করেছেন যে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষ আধিকারিকের সঙ্গে হস্তক্ষেপের জন্য যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও হাসপাতাল তানিশাকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে। অমিত বলেছেন, ‘যদি সময়মতো তানিশাকে হাসপাতালে ভর্তি করা যেত, তাহলে তার প্রাণ বাঁচানো যেত।’

সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন কী?

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) একাধিক রায়ে বলেছে যে, জরুরি অবস্থায় কোনও হাসপাতাল চিকিৎসা করতে অস্বীকার করতে পারে না। এমনকী, রোগী টাকা দিতে অক্ষম হলেও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। ন্যাশনাল হেলথ মিশন ও আরোগ্য যোজনার অধীনে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসার গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য এখন মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচিত হয় এবং জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই ঘটনা ঘটল।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!

Latest Videos

পহেলগাঁও কাণ্ডের পর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘মহাযুদ্ধ’-এর প্রস্তুতি ভারতের! কী বলছেন কাশ্মীরের জনতা?
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে টানটান উত্তেজনা! কড়া নজরে জল-স্থল-আকাশ, তৎপর বিএসএফ!