মেঘালয়ে বিধানসভা ত্রিশঙ্ক হওয়ার আশঙ্কা। ২৫ আসনে এগিয়ে এক নম্বর দল এনপিপি।
মেঘালয়ে বড় সাফল্য পেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড তাতে মেঘালয় বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই বিজেপি ও এনপিপি জোট গঠন করে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে পারে বলে সূত্রের খবর।
মেঘালয়ের রাজনৈতিক সমীকরণঃ
৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় সকরার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩১টি আসন। যার মধ্যে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাজ সাংমার নেতৃত্বাধীন এনপিপি এগিয়ে রয়েছে ২৬ট আসনে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে মাত্র ৩টি আসনে। কংগ্রেস পেতে পারে তিনটি আসন। আর অন্যান্য দলগুলির এগিয়ে রয়েছে ২৫টি আসনে। যারমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৫টি আসনে।
কনরাড সাংমার বক্তব্যঃ
কনরাড সাংমার দলের সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য এখনও আরও কয়েকটি আসনের প্রয়োজন রয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে চূড়ান্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে। রাজ্যের মানুষ তাঁদের পাশে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের মানুষকে। বলেছেন 'আমাদের ভোট দেওয়ার আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারিনি। চুড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি।'
বিজেপি জোট প্রস্তাব
২০১৮ সালে এনপিপি বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু বর্তমানে দুই দলের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। এই অবস্থায় দুই দল ভোটের আগে একক লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বুথ ফেরত সমীক্ষায় পূর্বাভাস ছিল ত্রিশঙ্ক হবে মেঘলয় বিধানসভা। তখন থেকেই জোটের কথা বলেছন কনরাড সাংমা। কিন্তু বিজেপির জোট প্রস্তাব এখনও স্বীকার করেননি তিনি।
রাজনৈতিক সমীকরণঃ
বিজেপি মাত্র তিনটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় কনরাড সাংমা মাত্র ৫টি আসনের জন্য কংগ্রেস বা তৃণমূল বা যেকোনও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সহযোগিতায় সরকার গড়তেই পারেন। রাজনৈতিক মহলের ধারনা সেই কারণেই তিনি সময় নিচ্ছেন। কারণ এখনও মোঘালয়ের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে প্রথম রয়েছে এনপিপি। বিজেপি সরকার গঠনের ধারে কাছেও নেই।
মেঘালয় তৃণমূলঃ
মেঘালয়ে তৃণমূল এই প্রথম সরকারিভাবে জেতা বিধায়ক পাঠাতে পারবে বিধানসভায়। তবে সকালের দিকে যেভাবে এগিয়েছিল তৃণমূল তাতে অনেকেই মনে করেছিল মেঘালয়ে সরকার গঠনে ফ্যাক্টর হবে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু পরবর্তীকালে এগিয়ে থাকা আসন সংখ্যা অনেকটাই কমে যায়। যাইহোক এই প্রথম বাংলার বাইরে ভোটে জিতল ঘাসফুল শিবির।