কচুরি বেচে ৭০ লক্ষ কামাই, আয়কর দফতরের অভিযোগ মানতে নারাজ কচুরিওয়ালা

  • নেটদুনিয়ায় ভাইরাল এই কচুরিওয়ালার গল্প
  • কচুরি বেচেই নাকি তিনি বছরে কামান সত্তর লক্ষ টাকা
  • সাংবাদিকদের তিনি বলছেন, গোটাটাই সাজানো

arka deb | Published : Jun 28, 2019 9:26 AM IST

বছরে ষাট লক্ষ টাকা আয় এক সামান্য কচুরিওয়ালার। অর্থাৎ মাসে আয় তার ৫ লক্ষ। উত্তর প্রদেশের সীমা টকিজের পাশের কানাগলির এই কচুরিওয়ালা এখন এই খবরের জেরেই জাতীয় এবং আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমগুলির শিরোনাম, সোশ্যাল মিডিয়ারও বহুল চর্চার বিষয়। অভিযোগ ৭৫ বছরের বৃদ্ধ মুকেশ কুমার আয়কর দেননা। জিএসটি অনুমোদনও নেই তাঁর।

কিন্তু এই সমস্ত অভিযোগকেই উড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। গুলার রোডে  মুকেশ কুমারের বাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড় করানোর জায়গা নেই। তাঁর দাবি ১২ বছর আগে তার বাবা মাখন লাল চার ফুট বাই চার ফুটের কচুরির দোকানটি কিনেছিল। কচুরির দোকান খোলার আগে এখানে সিগারেটের দোকান ছিল।

আরও পড়ুনঃ বছরে বিক্রি ৭০ লক্ষ টাকার, কর দফতরের নজরে ছাপোষা কচুরির দোকান

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে মুকেশ বলছেন, 'আমি আয়করের আওতায় পড়িই না। ১৫ জনের সংসার চালানোর টাকাটাই আমাকে অনেক কষ্ট করে জোটাতে হয়।' মুকেশের অভিযোগ তাঁর বউমার সঙ্গে শত্রুতা করে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি এই কাণ্ডে তাঁদের নাম জড়িয়ে দিয়েছে। ' কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন মুকেশ। মুকেশের দোকানে এক প্লেট কচুরির দাম ২৪ টাকা। রায়তার দাম পাঁচ টাকা। প্রতিবেশিরাও মানছেন না যে মুকেশ লাখ লাখ টাকার মালিক হতে পারেন।আয়কর দফতর অবশ্য এসব কিছুই শুনতে নারাজ। তাদের দাবি তারা তিনবার হানা দিয়েছে মুকেশের দোকানে।  প্রতিবারই দেখা গিয়েছে জনা ৪৫ লোক খাচ্ছে। অন্তত ২০ জন বাড়ির জন্যে খাবার নিয়ে যাচ্ছে। তাদের মতে, প্রতিদিন ৭০০০ টাকা খরচ করেন মুকেশ, ফলে তিনি যে হিসেব দেখাচ্ছেন তা সর্বৈব মিথ্যে।

কে সত্যি কে মিথ্যে বলা দুরুহ। তবে মহা ফাঁপড়ে পড়েছেন মুকেশের পরিবার। দূর দূরান্ত থেকে তাঁদের বাড়িতে লোক আসছে খোঁজ খবর নিতে। মুকেশ কান্নায় ভেঙে পড়ে বলছেন সব মিটলে জিএসটির কাগজপত্র তৈরি করবেন।

Share this article
click me!