আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা এরফলে মালদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মইজ্জুর “টেনশন” নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, ভারতের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাকে মালদ্বীপ থেকে বহিষ্কার করা মুইজ্জু পাবেন উপযুক্ত জবাবও।
এবার এক ঢিলে দুই পাখি মারতে তৈরি হচ্ছে ভারত। মোদী সরকারের এক পদক্ষেপে উপযুক্ত জবাব পেতে চলেছে মালদ্বীপ (Maldives) ও চিন। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারত সরকার (India) মালদ্বীপের কাছে দু’টি সামরিক বিমানঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এই বিমানঘাঁটির মধ্যে একটি মালদ্বীপ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লাক্ষাদ্বীপের মিনিকয় দ্বীপে নির্মিত হবে। যেখান থেকে ফাইটার এবং ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট উভয় পরিষেবা শুরু করা যাবে।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা এরফলে মালদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মইজ্জুর “টেনশন” নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, ভারতের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাকে মালদ্বীপ থেকে বহিষ্কার করা মুইজ্জু পাবেন উপযুক্ত জবাবও। এর পাশাপাশি, ভারত মহাসাগরে চিনের পরিকল্পনাও নস্যাৎ করতে পারবে ভারত।
উল্লেখ্য যে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু গত বছরের শেষের দিকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথে ভারতকে তার সেনা প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন। শুধু তাই নয়, চিনের “দাস” মহম্মদ মুইজ্জু নির্বাচনী প্রচারের সময়ে “ইন্ডিয়া আউট” ক্যাম্পেন শুরু করেছিলেন। যেখানে তিনি ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতিকে মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বের জন্য “হুমকি” হিসেবে তুলে ধরেন। উল্লেখ্য যে, মালদ্বীপে থাকা ভারতীয় সেনা ভারতের উপহার দেওয়া ডর্নিয়ার বিমান এবং হেলিকপ্টার পরিচালনা করত।
ছাড়াও, লাক্ষাদ্বীপের আগত্তি দ্বীপকে একটি এয়ারফিল্ড হিসেবে তৈরি করা হবে। যার ফলে, ভারতীয় সামরিক এবং অসামরিক বিমান পরিষেবায় সুবিধা মিলবে। এই প্রসঙ্গে, ডিফেন্স পোস্ট আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, এই নতুন এয়ারফিল্ড সেনাবাহিনীকে তার নজরদারির ক্ষেত্র আরও উন্মুক্ত করার এবং ওই এলাকায় একটি সামরিক শক্তি বৃদ্ধি অর্জনের সুযোগ দেবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।