আবহাওয়ার কারণে তীব্র সঙ্কটে পড়়েছে দেশ। প্রথমত বর্ষা আসতে বিলম্ব করছে অন্য দিকে প্রাক বর্ষার বৃষ্টিও হয়নি। সমীক্ষকরা বলছেন এই পরিস্থিতিতে দেশ গত ৬৫ বছর মাত্র দুই বার পড়েছে। এর প্রভাবও পড়ছে গোটা দেশ জুড়ে। তবে সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থা বিহারের।
এ যাবৎ মোট ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে গোটা বিহারে তাপপ্রবহের জেরে। খোদ রাজধানী শহর পাটনার অবস্থাই ভয়াবহ। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, গোটা বিহারেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৯ ডিগি বেশি, সামনের কয়েক দিনে এই পারদ নামারও কোনও সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টমহল। এই অবস্থায় রক্ষা পাওয়ার জন্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার দিনের বেলায় না বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই পর্যন্ত গয়াতে ১৩ জন ও নওদা জেলায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এই তাপপ্রবাহের কারণেই।
শুধু তাপপ্রবাহই নয় নীতিশ কুমারের নতুন মাথাব্যথা এনকেফেলাইটিস। এই রোগ ইতিমধ্যে বিহারে মহামারির আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে ৮৪টি শিশুর প্রাণ করে নিয়েছে এনকেফালাইটিস। গরমের কারণে সরকারি বেসরকারি স্কুলের ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে দিলেও এনকেফালাইটিস মোকাবিলার কোনও পথ খুঁজে পাচ্ছে না বিহার প্রশাসন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্তের বয়েস ১ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। সরকারে তরফে এনকেফালাইটিস আক্রান্তের পরিবারের জন্যে চার লক্ষ টাকা করে অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এদিন পাটনা ও মুজাফফরপুরের অবস্থা পরিদর্শন করেন। গোটা ঘটনার জন্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রককে সুপারিশ জানানো হয়েছে গোটা বিষয়টি তদারকির জন্যে।