সাংসদদের শান্তি ও ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে, দলীয় বৈঠকে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

  • দিল্লির হিংসা নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী 
  • দিল্লির হিংসা নিয়ে দলের বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ 
  • দলীয় সাংসদদের শান্তি ও ঐক্যের বার্তা প্রচারের নির্দেশ
  • দিল্লির বিজেপি সাংসদদের বৈঠক

 ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হিংসায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছিল দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকা। উত্তর পূর্ব দিল্লিতে হিংসার আগুন প্রবল আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। টানা তিন দিন ধরে হিংসা চললেও  সেই সময় একবারের জন্য মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার  বিজেপি সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন  দলের মূল মন্ত্রই হল দেশের উন্নয়ন। শান্তি, সৌভাতৃত্ব ও ঐক্য ছাড়া তা কখনই সম্ভব নয়। দলের সাংসদদেরই গোটা দেশে শান্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুধু দলের সাংসদ নয়। দলীয় নেতৃত্বের কাছেও তাঁর আর্জি গোটা দেশে শান্তি ও ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার। 

আরও পড়ুনঃ দিল্লির বন্দুকবাজ শাহরুখ পুলিশের জালে,জাফরাবাদে বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে যাওয়া যুবক গ্রেফতার বরেলি থেকে

Latest Videos

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিকাশই একমাত্র লক্ষ্য। আর উন্নয়নের মূল শর্তই হল শান্তি, ঐক্য ও সৌভাতৃত্ব। কিন্তু কয়েক জন নোংরা রাজনীতি করায় সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছে উন্নয়ন। যাঁরা এজাতীয় ঘৃণ্য রাজনীতি করছেন তাঁরা দলের পক্ষে তো বটেই দেশের পক্ষেও ক্ষতিকারক। তিনি আরও বলেন এই দেশের জন্যই আমরা বেঁচে রয়েছি। 

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ কর্ণাটক সরকারের, ডাকা হয়েছে জরুরি বৈঠক

দিল্লির হিংসাত্মক ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ গত সপ্তাহে টানা তিন দিন ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দিল্লির আকাশ। এখনও পর্যন্তা মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শতাধিক মানুষ। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক দোকান, ঘরবাড়ি। তাণ্ডবকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি স্কুলও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনও আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুনঃ করোনার থাবায় ফিকে এবার রঙের উৎসবও, চিন থেকে আমদানি কমায় দাম বাড়ছে পিচকেরির

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদেই পথে নেমেছিল দিল্লির আমজতা। শাহিনবাগ, জামিয়াসহ একাধিক এলাকায় রাস্তা আটকে চলছিল অবস্থান বিক্ষোভ। এই আবহেই হয় দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছিল উস্কানিমূল মন্তব্যের ঝড়। উঠেছিল গুলি মারার স্লোগানও। তারপরই নাগরিকত্ব আইনের সমর্থক ও প্রতিবাদীদের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছিল সংঘর্ষ। বিরোধীপক্ষের অভিযোগ উস্কানিমূলক মন্তব্যের প্রথম সারিতেই রয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। অনুরাগ ঠাকুর, কপিল মিশ্রদের নামে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু সেই সময় কেন তাঁদের নিরস্ত্র করা হয়নি তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সেই সময় তাঁদের থামানো গেলে দিল্লির হিংসা এড়ানো যেত। 
এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা

Share this article
click me!

Latest Videos

অসাধ্য সাধন! যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকার সত্ত্বেও ৮০০ গ্রামের শিশুকে বড় করে তুলল বারাসাত মেডিক্যাল
ইসকনের পাশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কড়া বার্তা দিলেন বাংলাদেশকে? Narendra Modi
বাজার থেকে ফেরার পথেই ঘটলো অঘটন! আতঙ্কের ছায়া শান্তিপুরে, দেখুন | Nadia News Today
পুলিশি অভিযানে বড়সড় সাফল্য! উত্তেজনা রানাঘাটে, দেখুন | Ranaghat News Today
Live: সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য ও শিশির বাজোরিয়া, কী বলছেন, দেখুন সরাসরি