'যাবজ্জীবন মানে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কারাবাস', খুনের মামলায় স্পষ্ট করল এলাহবাদ হাইকোর্ট

যাবজ্জীবন মানে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কারাবাস। আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ নির্ধারণ করতে পারে না। এমনটাই স্পষ্ট করে জানিয়েছে এলাহবাদ হাইকোর্ট।  

Web Desk - ANB | Published : May 6, 2022 5:27 AM IST / Updated: May 06 2022, 06:44 PM IST

যাবজ্জীবন মানে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কারাবাস। আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ নির্ধারণ করতে পারে না। এমনটাই স্পষ্ট করে জানিয়েছে এলাহবাদ হাইকোর্ট। বিচারপতি সুনীল আগরওয়াল এবং বিচারপতি সুভাষ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ ১৯৯৭ সালের একটি মামলায় ট্রায়াল কোর্ট কর্তৃক ৫ খুনের দোষী সাজাপ্রাপ্ত যাবজ্জীবন সাজা বহার রাখার সময় এমনইভাবেই পর্যবেক্ষণ করেছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের একটি মামলায় দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিল এলাহবাদ হাইকোর্ট। কারণ ওই মামলায় একাধিক খুনের পর ইতিমধ্যেই প্রায় ২০ থেকে ২১ বছর জেলের কুঠুরিতেই কাটিয়ে দিয়েছেন কাল্লু নামে ওই অপরাধী। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের জন্য মেয়াদ কমিয়ে মুক্তি দেওয়ার ইস্যুতে দাবি ওঠে। তবে  এলাহবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সুনীল আগরওয়াল এবং বিচারপতি সুভাষ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি কখনই অনুমোদিত নয়। যাবজ্জীবন মানে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কারাবাস। অর্থাৎ একজন ব্যাক্তির স্বাভাবিক জীবন। আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ নির্ধারণ করতে পারে না, জানিয়েছে এলাহবাদ হাইকোর্ট। আদালত আরও জানিয়েছে, নূন্যতম ১৪ বছরের কারাদণ্ডের পরে  যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা মওকুফ করা রাজ্য সরকারের বিবেচনার বিষয়। 

আরও পড়ুন, রাজ্যে অমিত শাহ, হিঙ্গলগঞ্জে বিএসএফ-র ভাসমান আউটপোস্ট উদ্বোধন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

আরও পড়ুন, ভারতের অখণ্ডতাকে নিয়ে চ্যালেঞ্জকারীদের সঙ্গে কেন সম্পর্ক রয়েছে রাহুলের ? জোর নিশানা মালব্য-র

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ টি খুনের আসামীর দায়ের করা তিনটি আবেদনের শুনানি চলছি আদালতে। যেহেতু একজন আবেদনের মাঝেই একজনের মৃত্যু হয়, তাই তার ক্ষেত্রে আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এলাহবাদ হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পাঁচ আসামীর নাম যথাক্রমে, কাল্লু, ফুল সিং, যোগেন্দ্র , জয়, চরণ। এদেন মধ্যে যোগন্দ্রেরই মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, যখন আদালতে সাজা মুকুবের জন্য আবেদন করা হয়, তখন আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ২৮ বিবেচনা করে, যা আদালতকে আইনের সাজা আরোপের ক্ষমতা দেয়। মাহোবার জেলা আদালত হত্যা সহ বিভিন্ন ধারায় তিন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড দিয়েছিল। কিন্তু ট্রায়াল কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিন আসামী। আবেদনকারীদের পক্ষে বলা যে তাঁরা প্রায় ২১ বছর জেলে রয়েছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনকারীরা মুক্তির দাবি জানান।এটা স্পষ্ট যে, খুনের অপরাধে সর্বনিম্ন সাজা যাবজ্জীবন এবং সর্বোচ্চ সাজা মৃত্য়ুদণ্ড। এক্ষেত্রেও আইপিসি একাধিক ধারা নিযুক্ত ছিল। আর এখানেই যুক্তি দিয়েছে এলাহবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সুনীল আগরওয়াল এবং বিচারপতি সুভাষ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ। উল্লেখ করেছে যে, 'আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ নির্ধারণ করতে পারে না।'

আরও পড়ুন, ইউরোপ সফর শেষে দেশে ফিরেই দিল্লিতে অফিস যোগ মোদীর, তাপপ্রবাহ-সহ ৭-৮ টি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

Share this article
click me!