জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে মরিয়া মোদী সরকার। আরেই উত্তর প্রদেশ, অমসের মত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই তারা নিজ নিজ রাজ্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করবে
জরুরি অবস্থা বা এমার্জেন্সির তীব্র বিরোধিতা করেছেন নরেন্দ্র মোদী -সহ তাঁর মন্ত্রিসভার সকল সদস্য। পাশাপাশি জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে সম্প্রতি ২৫ দিনকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করার কথাও ঘোষণা করেছেন অমিত শাহ। কিন্তু জরুরি অবস্থা নিয়ে যে ইন্দিরা গান্ধীর সমালোচনায় সরব হন মোদী-শাহরা এবার তাঁরাই সেই ইন্দিরা গান্ধীর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চলেছেন। তেমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে সাউথব্লকে। সূত্রের খবর খুব তাড়িতাড়ি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আইনতে পারে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন তৃতীয় এনডিএ সরকার। আর সেক্ষেত্র ইন্দিরা জমানার বিখ্যাত স্লোগান 'হাম দো হামারা দো'কেই আইনসিদ্ধ করতে চলেছে মোদী সরকার।
সূত্রের খবর, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে মরিয়া মোদী সরকার। আরেই উত্তর প্রদেশ, অমসের মত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই তারা নিজ নিজ রাজ্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করবে। শাস্তিযোগ্য কোনও আইন চালু করতে পারবে না। কিন্তু দুইয়ের বেশি সন্তান হলে সরকারি সুযোগ সুবিধে থেকে গোটা পরিবারকে বঞ্চিত করা হতে পারে। এমনই চিন্তা ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তার থেকে এককাঠি এগিয়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
গত ১০ বছরে একাধিকবার বিজেপি সাংসদরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সংক্রান্ত প্রাইভেট মেম্বারস বিল পেশ করেছে। যা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। পাশাপাশি এই দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মুসলিমদের দাগিয়েও দেওয়া হয়েছে। এসবই ছিল ভূমিকা মাত্র। রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব কী হতে পারে তা খতিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপগুলি করেছিল বিগত মোদী সরকার। এবার আসল চাল দিতে পুরোপুরি প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার আগে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিট গঠন করতে করতে পারে সরকার। সূত্রের খবর সেই কমিটির সুপারিশ ও রিপোর্ট জমা পড়ার পরই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের রুপোরেখা ও আইন নিয়ে আলোচনা করা হবে সংসদে। তারপরই বিল পেশ করা হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে দুই সন্তান নীতিতেই বেশি জোর দেওয়া হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।