শুক্রবার বিজেপির সংসদীয় কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানে বিজেপির সব সাংসদদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এদিনই এনডিএ-র বৈঠকও রয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনে মোদী ম্যাজিক অনেকটাই ফিঁকে হয়ে গেছে। বিজেপি এবার অনেকটাই শরিক নির্ভার। দিল্লিতে সেই দাদাগিরি এখন আর দেখাতে পারছে না বিজেপি। তাই এবার নরেন্দ্র মোদীর ভবিষ্যৎ নিয়েও শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। কারণ এবার এনডিএ সিদ্ধান্ত নেবে জোটের নেতা কে হবে। আজ শুক্রবার সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিজেপির আসন সংখ্যা যেহেতু শরিকদের তুলনায় অনেকটাই বেশি তাই নরেন্দ্র মোদীকেই জোটের নেতা হিসেবে মনোনীত করা হবে। কিন্তু তার জন্য এবার ভোটাভুটিও হতে পারে বলে বিজেপির একাংশের শঙ্কা।
শুক্রবার বিজেপির সংসদীয় কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানে বিজেপির সব সাংসদদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এদিনই এনডিএ-র বৈঠকও রয়েছে। সেখানেও জোটের সমস্ত সাংসদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। নীতিশ কুমার, চন্দ্রবাবু নায়ডুরা তাদের দলের সমস্ত সাংসদদের দিল্লিতে বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবারে দুটি বৈঠকের পরই বিকেলে এনডিএ-এর প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন।
Kangana Ranaut: কেন কঙ্গনাকে চড় মেরেছেন? জানিয়ে দিলেন CISF-মহিলা কনস্টেবল
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর শুক্রবার এনডিএ-এর বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। টিডিপি-র ১৬ জন সাংসদকেই উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে নীতিশ কুমারও দলের সব সাংসদদের উপস্থিত থাকতে বলেছেন। রবিবার সন্ধ্যাতেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। তার আগে প্রয়োজনীয় সরকারী কাজকর্ম সারতে চাইছে এনডিএ জোট। ইতিমধ্যেই আমন্ত্রিত দেশের তালিকা তৈরি করে আমন্ত্রণপত্রও পাঠান হয়েছে।
বিজেপি এবার সব জোট শরিক বিশেষ করে নীতিশ আর চন্দ্রবাবুর ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। তাই বিজেপির শীর্ষ নেতারাও দুই শরিক নেতাকে চোখে চোখে রাখছে। কারণ যে কোনও সময়ই তারা পাল্টি খেতে পারেন। দুই নেতাই নিজের আর রাজ্যের কথা বিবেচনা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হন না।