কার্গিলে ভারতীয় সেনার অদম্য 'অপারেশন বিজয়', আত্মত্যাগের ২৩ বছর পার

Published : Jul 26, 2022, 11:41 AM IST
কার্গিলে ভারতীয় সেনার অদম্য 'অপারেশন বিজয়', আত্মত্যাগের ২৩ বছর পার

সংক্ষিপ্ত

আজ কার্গিল ‘বিজয় দিবস’। কার্গিল যুদ্ধের বীরদের বিজয়কে স্মরণ করার এবং মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গকারী সাহসী সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। ২৬ জুলাই দিনটিকে কার্গিলের শহিদদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়। প্রতি বছর এই দিনে প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়া গেটের কাছে অবস্থিত অমর জওয়ান জ্যোতিতে সৈন্যদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

"হয় আমি ভারতীয় পতাকা উত্তোলনের পরে ফিরে আসব, নয়তো আমি তাতে মোড়ানো হয়ে ফিরে আসব। তবে, আমি নিশ্চিতভাবে ফিরে আসবই।", ১৯৯৯ সালে দেশকে জানিয়ে গিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা, জম্মু-কাশ্মীরে কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো ডেল্টা বাহিনীর একজন সেনা অফিসার, যিনি ভারতকে রক্ষা করতে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন আরও ৫২৭ জন বীর যোদ্ধার মতোই। 

১৯৯৯ সালের মে মাসে জম্মু কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী কার্গিল জেলায় পাকিস্তানি সৈন্য এবং সন্ত্রাসবাদীরা নিয়ন্ত্রণ রেখা LOC পার করে ভারতীয় ভূখণ্ডে ব্যাপকভাবে অনুপ্রবেশ শুরু করেছিল। মাত্র কয়েকজন নয়, অস্ত্রশস্ত্র সহকারে একেবারে শ’য়ে শ’য়ে পাকিস্তানি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঘটতে থাকায় চিন্তায় পড়ে যায় ভারত সরকার। সেই সময়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং সেনাপ্রধান ছিলেন বেদ প্রকাশ মালিক। সেনা প্রধানের নির্দেশে কার্গিল এলাকায় অনুপ্রবেশকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই সময়ে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক লড়াই হয় এবং ৫ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন।

এরপর পাকিস্তানি উগ্রপন্থীরা সেনাবাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ চালাতে থাকে এবং জম্মু কাশ্মীরের আরও বহু অঞ্চলে অনুপ্রবেশ শুরু করে দেয়। শেষমেশ বাধ্য হয়ে ১৯৯৯ সালের ১০ মে ভারতীয় সেনাবাহিনী 'অপারেশন বিজয়' ঘোষণা করে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর হামলায় বহু পাকিস্তানি জঙ্গিকে নিকেশ করা গেলেও পাকিস্তানি বাহিনীর পাল্টা হামলায় বহু ভারতীয় সেনা শহিদ হন। তবুও, যোদ্ধারা হাল না ছেড়ে একের পর এক এলাকা পাকিস্তানি জঙ্গিদের দখল হঠিয়ে পুনরুদ্ধার করতে থাকেন। দু’মাস তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলার পর ২৬ জুলাই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দখল করা সমস্ত অবস্থান পুনরুদ্ধার করে ভারত এই যুদ্ধে বিজয়ী হয়। 

কার্গিলের ওই প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আর প্রতিকূল অবস্থাকে প্রতিহত করেও ক্রমাগত পাহাড় আরোহণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এবং জয়ী হওয়া ভারতীয় সেনার এক দুর্দান্ত সফলতার ইতিহাস। ‘বিজয় দিবস’ হল কার্গিল যুদ্ধের বীরদের বিজয়কে স্মরণ করার এবং মাতৃভূমির জন্য এই জীবন উৎসর্গকারী সাহসী সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। ২৬ জুলাই দিনটিকে কার্গিলের শহিদদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়। প্রতি বছর এই দিনে প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়া গেটের কাছে অবস্থিত অমর জওয়ান জ্যোতিতে সৈন্যদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা এই যুদ্ধে শত্রুদের মোকাবিলায় অসামান্য সাহসিকতা এবং সর্বোচ্চ শৃঙ্খলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাই ১৯৯৯ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে সর্বোচ্চ মিলিটারি পুরস্কার পরম বীর চক্রে ভূষিত করে ভারত সরকার।

PREV
click me!

Recommended Stories

Indigo Flights: যাত্রীদের ৬১০ কোটি টাকা ফেরত দিল ইন্ডিগো! কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র
জম্মু ও কাশ্মীরে বড় সাফল্য নিরাপত্তারক্ষীদের, ডোডা জেলায় সন্ধান অস্ত্রভাণ্ডারের