বন্ধ এম ফিল, বেঁধে দেওয়া হবে উচ্চশিক্ষার বেতন - ৩৪ বছর পর ভারতে নতুন শিক্ষানীতি

৩৪ বছর পর ভারতে গৃহিত হল নতুন শিক্ষানীতি

বন্ধ করে দেওয়া হল এমফিল

উচ্চশিক্ষার বেতনও বেঁধে দেওয়া হবে

নতুন শিক্ষানীতির ফলে আর কী কী বদল এল

 

বুধবার কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম বদলে ফের হল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে ৩৪ বছর বদলে গেল ভারতের শিক্ষানীতিও। এদিন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বলেছেন, এই নয়া শিক্ষনীতির ফলে উচ্চ শিক্ষা আরও নমনীয় হবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারত ৫০ শতাংশ গ্রস এনরোলমেন্ট রেসিও (জিইআর) বা মোট তালিকাভুক্তির অনুপাত অর্জন করার লক্ষ্য নিয়েছে। এই নয়া নীতিতে ফি কাঠামোকেও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

Latest Videos

দেখে নেওয়া যায় জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুযায়ী উচ্চশিক্ষার জন্য ঘোষিত মূল বিষয়গুলি -

- ২০৩৫ সালের মধ্যে মোট তালিকাভুক্তির অনুপাত ৫০ শতাংশ বাড়ানো

- উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিষয়গুলি নমনীয় করে, সার্বিক ও বহু-বিভাগীয় শিক্ষা সুনিশ্চিত করা

- স্নাতক স্তরের পাঠক্রম হবে ৩ থেকে ৪ বছরের, স্নাতকোত্তর - ১ থেকে ২ বছরের, আবার একসঙ্গে ৫ বছরে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠক্রমও থাকবে। তবে এম ফিল বন্ধ করে দেওয়া হবে

- সরকারী ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে একটিই বিস্তৃত নিয়ামক কাঠামোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, বেতনও বেঁধে দেওয়া হবে

- ক্রমান্বয়ে অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হবে

- সমস্ত উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেই অনুমোদনের জন্য স্ব-প্রকাশ ভিত্তিক স্বচ্ছ ব্যবস্থার অধীনে কাজ করা একক নিয়ামক সংস্থা তৈরি করা হবে

- শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বিনিয়োগ অবিলম্বে জিডিপি-র ৬ শতাংশ করা হবে, বর্তমানে এর পরিমাণ প্রায় ৪৩.৩ শতাংশ

- শিক্ষা পরিকল্পনা, পাঠদান, প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষায় ই-কোর্স তৈরি করা হবে। স্কুল, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল মাধ্যমে সজ্জিত করার জন্য ভার্চুয়াল ল্যাব তৈরি করা হবে। হিন্দি এবং ইংরেজির সঙ্গে সঙ্গে বাংলা, কানাড়া, ওড়িয়া, তামিল ইত্যাদি আঞ্চলিক ভাষার ই-কনটেন্ট তৈরি করা হবে।

- জাতীয় শিক্ষামূলক প্রযুক্তি ফোরাম বা এনইটিএফ তৈরি করে একক উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান এবং পেশাদার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে বহু-শাখার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হবে

- বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য শিক্ষামূলক সফ্টওয়্যার তৈরিতে জোর দেওয়া হবে

ভারতে প্রথম জাতীয় শিক্ষানীতি গ্রহণ করা হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। এরপর ১৯৮৬ সালে তা আবার নতুন করে তৈরি করেছিলেন রাজীব গান্ধী। ১৯৯২ সালে তা সংশোধন করা হয়েছিল। তারপর থেকে সেই শিক্ষানীতিই অনুসরণ করা হচ্ছিল। এনইপি ২০২০ কার্যকরের আগে প্রায় ছয় বছরের ধরে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০১৪ সালে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারেই এই শিক্ষানীতির কথা বলা হয়েছিল। আরএসএস-ই এই নয়া শিক্ষানীতির সুপারিশ করেছিল।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'ওটা আমার জায়গা, ওকে আবার হারাব' তাপসীকে চরম বার্তা শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari on Tapasi Mondal
‘ওঁরা তো প্রকাশ্যে বলেছে Holi পালন করা যাবে না’ Mamata Banerjee-র সরকারকে আক্রমণ Suvendu Adhikari-র
'আপনি হিন্দু বিরোধী নিজেই প্রমাণ করেছেন, হিন্দুরাই তাড়াবে আপনাকে' হুঁশিয়ারি Suvendu Adhikari'র
Suvendu Adhikari: ‘নন্দীগ্রাম না হলে Mamata Banerjee জীবনেও মুখ্যমন্ত্রী হতেন না, ওঁকে চেনে কে!’
'পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বেইমান মমতা' বিস্ফোরক শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | Mamata Banerjee |