বার্ষিক আয় নাকি মাত্র ২ লক্ষ, ৮০ বছরের বৃদ্ধার সুইস অ্যাকাউন্টে মিলল ২০০ কোটি কালো টাকা

৮০ বছরের বৃদ্ধার দাবি মাসিক আয় মাত্র ১৪,০০০ টাকা

তাঁরই সুইস ব্যাঙ্কে জমা টাকার পরিমাণ প্রায় ১৯৬ কোটি

ধরা পড়ে কী যুক্তি দিয়েছেন তিনি

আয়কর বিভাগ-ই বা তাঁকে কী শাস্তি দিল

 

amartya lahiri | Published : Jul 19, 2020 10:20 AM IST

বৃদ্ধার বয়স এখন ৮০ বছর। মাসিক আয় মাত্র ১৪,০০০ টাকা বলে দাবি করেন তিনি। এহেন সহজ স্বাভাবিক বৃদ্ধারই কালো টাকার পরিমাণ শুনলে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতে হয়। সুইস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে তার জমা থাকা কালো টাকার মোট পরিমাণ প্রায় ১৯৬ কোটি টাকা বললে আয়কর বিভাগ। আয়কর বিভাগের আপিল ট্রাইব্যুনালের (আইটিএটি) মুম্বই শাখা এখন ওই বৃদ্ধাকে কালো টাকার কর জমা দেওয়ার পাশাপাশি নোটা অঙ্কের জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

জানা গিয়েছে ওই বৃদ্ধার নাম রেণু থারানি। জেনেভা-র এইচএসবিসি ব্যাঙ্কের শাখায় তার একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ২০০৪ সালের জুলাই মাসে কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের 'জিডব্লু ইনভেস্টমেন্ট' সংস্থার নামে ওই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। পরে সংস্থার প্রশাসক হিসাবে পুরো তহবিলটিই 'থারানি ফ্যামিলি ট্রাস্ট'-এর  নামে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেই থেকে থারানি ট্রাস্টই ওই অ্যাকাউন্টের একমাত্র সুবিধাভোগী।

২০০৫-০৬ আর্থিক বছরে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় রেণু থারানি ওই তথ্য চেপে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন তাঁর বার্ষিক আয় মাত্র ১.৭ লক্ষ টাকা। বেঙ্গালুরুর একটি ঠিকানা দিয়ে নিজেকে ভারতীয় করদাতা হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।

২০১৪ সালে এই বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। একটি হলফনামা দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন জেনেভার এইচএসবিসি ব্যাঙ্কে তাঁর কোনও অ্যাকাউন্ট নেই এবং তিনি জিডব্লু ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের পরিচালন গোষ্ঠীর কোনও সদস্য-ও নন, তাদের শেয়ারহোল্ডারও নন। তারপরেও তিনি দাবি করেন যে ওই ব্যাঙ্কে তাঁর অ্যাকাউন্ট থাকলেও, তার জন্য কর দাবি করতে পারে না সরকার। কারণ, তিনি একজন অনাবাসী ভারতীয়।

ইনকাম ট্যাক্স আপিল ট্রাইব্যুনাল বলেছিল তাঁর অনাবাসী ভারতীয়র স্ট্যাটাস মাত্র এক বছর আগেকার। এই একবছরে কোথা থেকে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা জমা হল তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। তিনি কোনও দাতব্য সংস্থাও চালান না, যে এই পরিমাণ অর্থ তাঁর ট্রাস্ট-কে অনুদান দেওয়া হয়েছে।

Share this article
click me!