কোভিড ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন নিয়ে সরাসরি উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল ভারতীয় রেলকে। রেল মন্ত্রকের অধীনে রেলওয়ে বোর্ড ওমিক্রন সংক্রমণ রুখতে একাধিক নির্দেশ জারি করেছে।
গোটা দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ(Third Wave of corona) আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও টিকাকরণে জোর দিয়ে তা অনেকটাই ঠেকানো গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে নতুন কোভিড ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন(Covid Variant Omicron) নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ। বিশ্বের ৫০টির কাছাকাছি দেশে ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে এই নয়া মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। ভারতেও পা রেখে এই নয়া কোভিড স্ট্রেন(Covid strain)। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে প্রশাসন। এমতাবস্থায় এবার কোভিড ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন নিয়ে সরাসরি উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল ভারতীয় রেলকে। রেল মন্ত্রকের অধীনে রেলওয়ে(Indian Railway) বোর্ড ওমিক্রন সংক্রমণ রুখতে একাধিক নির্দেশ জারি করেছে।
আর ওই নির্দেশিকাতেই বিভিন্ন রেলওয়ে ডিভিশনের সমস্ত শাখাকে সতর্কও করা হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজারদের একাধিক নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে রেলওয়ে বোর্ডের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কে শ্রীধরের তরফে। তাতেই রেলের বিভিন্ন ডিভিশনকে কোভিড নিয়মাবলী মেনে চলতে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে সহায়তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য পিপিই কিটস এবং ওষুধপত্র এক মাসের জন্য স্টক করতে বলা হয়েছে। অক্সিজেন সিলিন্ডারের সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি রেলের সমস্ত চিকিৎসা কেন্দ্রে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- শক্তি বাড়াচ্ছে 'জাওয়াদ', স্থলভাগে প্রবেশের কত গতিবেগ হতে পারে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের
অন্যদিকে রেলের তরফে শিশুদের জন্য চিকিৎসায় একই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিরাজ কুমার জানিয়েছেন তারা রেলওয়ে বোর্ডের নতুন নির্দেশ মেনে চলবেন। এর পাশাপাশি তিনি জানান দক্ষিণ-পূর্ব রেল যাত্রীদের সচেতন করার পাশাপাশি সংক্রমণ রুখতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। এদিকে দু’দিনে আগেই ওমিক্রনের সংক্রমণ-তালিকায় ছিল ১২টি দেশের নাম। আজ প্রকাশিত নতুন তালিকায় জানানো হয়েছে, অন্তত ৩০টি দেশে ঢুকে পড়েছে করোনার নতুন বিপজ্জনক স্ট্রেনটি। অসমর্থিত সূত্রের খবর, সংখ্যাটা আদপে ৫০-র বেশি। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ওমিক্রন স্ট্রেনের বিষয়ে প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-কে রিপোর্ট করেছিল ২৪ নভেম্বর। কিন্তু সাম্প্রতিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, তার বহু আগেই বিভিন্ন দেশে ছড়াতে শুরু করেছিল স্ট্রেনটি। বর্তমানে যে গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন, শীঘ্রই ডেল্টাকে সরিয়ে এটিই বিশ্বে ‘ডমিন্যান্ট’ বা মূল সংক্রামক স্ট্রেন হয়ে উঠবে, এমনটাই মত ‘ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজ়িজ় প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল’ বা ইসিডিসি-র। আর তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ।