চলতি অর্থবর্ষে দেশজুড়ে ঋণখেলাপের পরিমাণ দেড় লক্ষ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন এই তথ্যই এদিন সংসদ ভবন থেকে দিলেন নিজেই। তিনি আরও জানালেন এর এক-তৃতীয়াংশ টাকাই ফেরত দেননি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার লোন গ্রাহকরা।
কারা এই ঋণ নিয়ে ফেরত দেননি? দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বড় ব্যবসায়ীরাই দেনা শোধ শোধ করার ব্যাপারে উদাসীন। এ ব্যাপারে সব থেকে এগিয়ে রয়েছে পঞ্জাব। এই রাজ্যে ৪৬ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা ঋণ বকেয়া পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ঋণের বকেয়ার পরিমাণ ২৫ হাজার ৯০ কোটি টাকা হয়েছে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সেখানে ঋণখেলাপের সংখ্যা ৯ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ঋণখেলাপি ব্যবসায়ীদের পথে আনতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার। বিজয় মাল্য, নীরব মোদী, মেহুল চোক্সিদেপ মতো বড় বড় বিজনেস টাইকুনদের ফেরাতে মোদি সরকারের কড়া দাওয়াই শিরোনামে এসেছে বারবার। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যারা ইচ্ছাকৃত দেনা পরিশোধ করেননি তারা ভবিষ্যতে ব্যাংক বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোন রকম সুবিধা পাবে না অন্যদিকে পাঁচ বছরের জন্য তাদের যে কোন নতুন উদ্যোগ এই কোন রকম সহায়তা করা হবে না। কড়া দৃষ্টিতে দেখা হবে, যাতে তারা বাজার থেকেও কোনও রকম টাকা না তুলতে পারে। অন্য দিকে প্রতিটি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ লুক আউট নোটিশ জারি করছে পলাতকদের ধরতে।
এযাবত ব্যাঙ্ক থেকে থেকে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত ভাবে ১৪৭৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে।