স্বল্প সঞ্চয়ে কমছে না সুদের হার। অর্থমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে পিপিএফ (পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড), পাঁচ বছরের ন্যাশনাল সেভিংস সার্ফিফিকেটের ক্ষেত্রে আগের মতো ৭.৯ শতাংশ হারে সুদ মিলবে। পাশাপাশি বরিষ্ঠ নাগরিকদের জন্য পাঁচ বছরেের সঞ্চয় প্রকল্পে সুদ মিলবে ৮.৬ শতাংশ হারে। ডাকঘরে পাঁচ বছরের সঞ্চয়ে সুদ মিলবে ৭.৭ শতাংশ হারেই।
আরও পড়ুন: নতুন বছরের প্রথম দিনেই বাড়ল রেলের ভাড়া, এক নজরে দেখে নিন বর্ধিত ভাড়ার তালিকা
২০১৯ সালে ব্যাঙ্কগুলি স্থায়ী আমানতে বার বার সুদের হার কমিয়েছে। পাশাপাশি ডাকঘরে লঞ্চয়েও সুদ কমেছে। যার পলে সব থেকে অনুবিধায় পড়েছেন পেনশনভোগীরা। এই অবস্থায় স্বল্প সঞ্চয়ে মোদী সরকারের সুদ অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত গরিব, মধ্যবিত্ত বিশেষত পেনশনভোগীদের কিছুটা স্বস্তি দেবে।
আরও পড়ুন : স্বাগত নববর্ষ ২০২০, আতশের আলোর ঝলকানিতে মাতল গোটা বিশ্ব
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চাইছিল কেন্দ্রীয় সরকার ডাকঘর ও অন্যান্য স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমাক। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ২০১৯ সালে বার বারা সুদের হার কমিয়েছে আরবিআই। গত বছরেই ১.৩৫ শতাংশ কমেছে সুদের হার। উদ্দেশ্য, শিল্পের জন্য ব্যাঙ্কগুলি অপেক্ষাকৃত অল্প সুদে ঋণ দিতে পারবে। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যতখানি সুদের হার কমিয়েছে, ব্যাঙ্কগুলি ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ততখানি সুদের হার কমাতে পারেনি।
এদিকে বেহাল দশা দেশের অর্থনীতির। কমেছে মানুষের রোজগার, যা ক্ষোভ বাড়িয়েছে জনমানসে। এরমধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি নিয়ে দেশজুড়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। তারমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে ক্রমেই সরকারের উপর ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের। এই অবস্থায় গরিব, মধ্যবিত্ত প্রবীণদের কথা ভেবেই মোদী সরকার আর স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমানোর ঝুঁকি নিল না।