৫ রাজ্যে ভোটের আগে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজ্য সভায় বিবৃতি, কী কী জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

Published : Mar 17, 2021, 06:30 PM IST
৫ রাজ্যে ভোটের আগে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজ্য সভায় বিবৃতি, কী কী জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

সংক্ষিপ্ত

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে লিখিত প্রশ্নের উত্তর  উত্তর দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক  এনআরসি নিয়ে পরিকল্পনা নেই  তৈরি হয়নি ডিটেনশন ক্যাম্প 

দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধক বা NRC লাগু করার কোনও পরিকল্পনা এখনও পর্যন্ত নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভায় একটি প্রশ্ন জবাবে জানিয়েছেন সারা দেশে এনআরসি বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি। একটি লিখিত প্রশ্নের জবাবে নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের তত্বাবধানে অসমে এনআরসি করা হয়েছিল। চূড়ান্ত এনআরসিতে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ২৭ হাদার ৬৬১ জনের মধ্যে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার মানুষ বাদ পড়েছিলেন।

নতুন করে কি সমস্যায় পড়তে পারেন তৃণমূল নেত্রী, 'বাড়ি বাড়ি রেশন' প্রতিশ্রুতি নিয়ে রিপোর্ট তলব কমিশন...

লালমাটির ঝাড়গ্রামে ত্রিমুখী লড়াই, কার হাতে থাকবে 'জঙ্গলমহল'র দায়িত্বভার ...
অন্যএকটি প্রশ্নের জবাবে স্বারাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন আনুয়ায়ী এনআরসি-র জন্য কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প বা সেস্টার তরৈরির ব্যবস্থা নেই। তাই কেন্দ্রও আপাতত সেই পথে হাঁটছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন ২০১২ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, যে বিদেশী নাগরিকরা তাদের সাজা শেষ করেছে তাদের অবিলম্বে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে হবে। তাদের নির্বাশন বা প্রত্যাবসন প্রত্যাহারের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান প্রয়োজন। এই নির্দেশনের পরেই কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে জানিয়ে দেয় তাদেরও সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে চলা জরুরি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসী ও বিদেশীদের আটক করার জন্য স্থানীয় প্রয়োজন অনুসারে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত এলাকার সরকার ডিটেনশন সেন্টার স্থাপন করেছে। সেখানে অনেকেই সাজার মেয়াদ সম্পূর্ণ করেছে। যাথাযথ নথির অপেক্ষায় তাঁদের নিজের দেশে ফেরত পাঠান যাচ্ছে না। 

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পরেই দিল্লিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছ। প্রায় চার মাস ধরে চলে সেই আন্দোলন। সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, সমস্ত বিরোধিতা সত্ত্বেও মোদী সরকার সিএএ বাস্তবায়িত করবে। আইন মেনে শরনার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।  কেন্দ্রীয় সরকারের আইন অনুযায়ী হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসিক, খ্রিস্টানদেরই নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। শর্ত অনুযায়ী পাকিস্তান, বাংলাদেশ আফগানিস্ত থেকে তাদের এই দেশে আসতে হবে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা ভারতে এসেছিল তাদেরই নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন বহু মানুষ। 

PREV
click me!

Recommended Stories

নতুন শ্রম আইনে আপনার বেতনের পরিমাণ খুব বেশি কমবে না,কারণ জানাল মন্ত্রক
যাত্রীদের সমস্যার 'ক্ষতে' ১০০০০ টাকার 'মলম'! IndiGo ভাউচার ঘোষণা করল