শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেনের কামরা কতটা নিরাপদ, করোনার সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেবে না তো


শুধুমাত্র শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার ট্রেনই চলবে
সিদ্ধান্ত রেল মন্ত্রকের
করোনা মোকাবিলায় কতটা নিরাপদ কামরা

Asianet News Bangla | Published : May 12, 2020 12:35 PM IST

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের কারণে প্রায় ২ মাস বন্ধ ছিল রেল চলাচল। পয়লা মে থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হল সাধারণ যাত্রীদের জন্য প্যাসেঞ্জার ট্রেন। তবে এই পরিস্থিতিতে মাত্র ১৫ জোড়া ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক। শুধুমাত্র শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরাই চলাচল করবে। কিন্তু এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা কতটা নিরাপদ তাই নিয়েই উঠছে শুরু করেছে প্রশ্ন। 

চিনের একটি গবেষণা দাবি করেছিল শীতাতপ যন্ত্র করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। একই মত পোষণা করা হয়েছিল দেশী বিদেশী আরও অনেক গবেষণাতে। তাই যাত্রীদের মধ্যে আশঙ্কা থাকছই। এই অবস্থায় রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সম্পূর্ণ নিরাপদ। রেলের তরফে বলা হয়েছে ভারতীয় রেল যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাতে একঘণ্টায় ১২ বার বাতাস পরিষ্কার করা হয়। আগে ঘণ্টা মাত্র ৫ বার বাতার পরিষ্কার হত। সেই মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যা সংক্রমণ রুখতে সহায়ক। পাশাপাশি ভারতীয় রেল কর্তারা দাবি করেছেন, ভারতীয় এসি কোচগুলির ছাদ মাউন্টেড এসি প্যাকেজ ইউনিট সিস্টেমটি বায়ু প্রতিস্থাপনের সংখ্যা বাড়ানোর জন্যই তৈরি করা হয়েছিল। তাই তেমন সমস্য়া হবে না বলেই দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি রেলের তরফে জানান হয়েছে কোনও যাত্রীকেই কম্বল বা চাদর বিলি করা হবে না। বাড়ি থেকেই তাঁদের সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে বলা হয়েছে। এই অবস্থায় কোচের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের তাপমাত্রাও ২৩ থেকে ২৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখা হবে বলে জানান হয়েছে। কারণ ওই ব্যবস্থা আরামদায়ক ও নিরাপদ বলেই রেলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ এয়ার ইন্ডিয়ায় আবারও করোনা হামলা, তামিলনাড়ুতে অভিযুক্তকে পাড়াও করায় সিল করতে হল থানা ...

আরও পড়ুনঃ এরপরেও কি ওঁরা ফিরে আসবেন শহরে, লকডাউনের 'জ্বালাময়' দিনগুলি কাটানোর পর প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে ...

আরও পড়ুনঃ করোনা সংকটে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর 'শাস্তি', কর্নাটক সরকার সরিয়ে দিল আইএএস মনিভান্নানকে ...

রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত ৮০ হাজার যাত্রী টিকিট বুকিং করেছে। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা।  তবে প্রত্যেক যাত্রীর কাছেই আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করা আবশ্যক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া গাইডলাইন অনুসারে প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্কের ব্যবহার করতে হবে। নিরাপদ শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখতে হবে। যাত্রীদের খাবার ও জল বাড়ি থেকেই আনার পরামর্শ দিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা। ট্রেনের নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিট আগে স্টেশনে আসতে হবে বলে আগেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

Share this article
click me!