ফের শিক্ষাঙ্গণে মূর্তি ভাঙার রাজনীতি ফিরে এল। এবারের স্থান জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু কে বা কোন গোষ্ঠী এই কাজ করেছে সেই নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির পাদদেশের কিছুটা অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে কিছু অশ্লীল মন্তব্য। তবে কে বা কারা এই কাজ করেছে, সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ডান দিকে স্বামী বিবেকানন্দের এই মূর্তিটি রয়েছে। জেএনইউ এর পড়ুয়ারা একদিন আগেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য মামিদালা জগদেশ কুমাররের দেওয়ালচিত্র এঁকে রেখে যায়। জেএনইউয়ের পড়ুয়ারা তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে। জেএনইউএসইউয়ের পার্টির তরফে জানানো হয়েছে, তাদের দলের কোনও পড়ুয়া স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির পাদদেশ ভাঙেননি বা সেখানে অশ্লীল কোনও মন্তব্য লেখেননি। জেনএনইউয়ের বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির দিকে আঙুল তুলছেন। জেএনইউএসইউ এর প্রেসিডেন্ট এন সাই বালাজি জানিয়েছেন, পরিকল্পনা করে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির পাদদেশ ভাঙা হয়েছে। এবং সেখানে অশ্লীল মন্তব্য লেখা হয়েছে। যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যায় বিচার থেকে চোখ ঘুরিয়ে তাঁদের ক্ষোভটা দেখানো যেতে পারে। এই ধরনের ঘটনা সৃষ্টি করা হয়েছে, যাতে ছাত্র ছাত্রীরা ন্যায় বিচার না পান।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে রয়েছে জেএনইউ। হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে জেএনইউ এর পড়ুয়ারা প্রায় ১৫ দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন। গত সোমবার থেকে এই বিক্ষোভ চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে পুলিশের তরফে জলকামানও ছোড়া হয়। তবে পড়ুয়াদের চাপে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় নতি স্বীকার করেছে। বুধবার বিকেলে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ হস্টেল ফি আংশিকভাবে কমানোর কথা ঘোষণা করে।