জ্বালানি দিতে নারাজ তেল সংস্থাগুলি। আর তার জেরে তীব্র সংকটে এয়ার ইন্ডিয়া। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এই বিমান সংস্থার কাছে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে তেল সংস্থাগুলির। ফলে দেশের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে তেল দিচ্ছে না অনেক সংস্থাই।
জানা গিয়েছে, গত ছ' মাসেরও বেশি সময় ধরে এই বিপুল পরিমাণ বকেয়া রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার। যার জেরে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের মতো সংস্থাগুলি এয়ার ইন্ডিয়াকে আরে বাকিতে তেল দিতে নারাজ। বৃহস্পতিবার কোচি, পুণে, পটনা, রাঁচি, ভাইজ্যাগ এবং মোহালিতে জ্বালানি পায়নি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান।
আরও পড়ুন- উত্তর মেরু সফরে প্রথম কোনও ভারতীয় বিমান সংস্থা, জেনে নিন কবে উড়ান
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব একটি তেল সংস্থার এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার কথা। সেখানে ২০০ দিন পার হয়ে যাওয়াতেই জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে।'
অন্য় আর একটি তেল সংস্থার সূত্রে জানানো হয়েছে, সবমিলিয়ে তেলের দাম বাবদ সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বকেয়া থাকলেও মাত্র ষাট কোটি টাকা মেটানোর প্রস্তাব দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়া। এক সপ্তাহ আগে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাই চিঠি দিয়ে বকেয়া অর্থ নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে জানতে চায়। তখনই জ্বালানি বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়।
তেল সংস্থাগুলির বক্তব্য, বিমানে ব্যবহৃত জ্বালানির জন্য কোনও ভর্তুকি দেয় না সরকার। সেই কারণেই তেল সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ বকেয়া রেখে এয়ার ইন্ডিয়াকে তেল সরবরাহ চালু রাখা সম্ভব নয়।
এই মুহূর্তে এয়ার ইন্ডিয়ার ঘাড়ে মোট ৫৮ হাজার কোটি টাকার দেনা রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র অবশ্য দাবি করেছেন, সংস্থার সাম্প্রতিক ব্যবসা যথেষ্ট ভাল হচ্ছে। অপারেটিং প্রফিটের দিকেও এগোচ্ছে সংস্থা।