অযোধ্যার মামলার রায় প্রদানের আগে পর্যন্ত প্রচণ্ড চাপে ছিলেন তিনি। রায় দানের পর রিলিফ পেলেন তিনি। শনিবার সুপ্রিমকোর্টে রায়দানের পর এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন পাঁচ বিচারপতির একজন। যদিও তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় দেয়। পাঁচ বিচারপতি একটি বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এই রায় দিয়েছে। তাঁদেরই একজন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান। তিনি জানান, রায় দানের আগে পর্যন্ত মানসিক চাপে নিজেকে খুব অসুস্থ লাগতে শুরু করেছিল। কিন্তু রায় প্রদানের পর নিজেকে বেশ সুস্থ লাগছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে এক ওই বিচারক জানান, অযোধ্যায় বিতর্কিত জমির ওপর সকলের নজর ছিল। তাই সব দিক চিন্তা ভাবনা করে এই রায় প্রদান করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের পাশাপাশি ছিলেন বিচারপতি এসএ বোবডে, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি এস আবদুল নাজির। ৪০ দিন শুনানি হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট এই রায় ঘোষণা করেছে।
অযোধ্যা মামলার রায়ে বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি শেষ পর্যন্ত রামলালাকেই দেওয়া হয়। ওই বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির তৈরি হবে। মন্দিরর তৈরির জন্য ট্রাস্ট গঠনে সরকার পক্ষকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি মসজিদ নির্মাণের জন্য দেওয়া হয়েছে। এই রায় মেনে নিয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। তারা জানিয়েছে, নতুন জমিতে আরও বড় আকারে মসজিদ নির্মাণ গঠন করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জানানো হয়েছে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া খননে মসজিদের আগে অন্য কোনও স্থাপত্যের প্রমাণ পেয়েছে। তবে সেখানে কোনও ইসলামিক স্থাপত্য ছিল না। হনুমান ও অন্যান্য দেব দেবীর মূর্তি পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।