দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, তেমনই দাবি CSIR-এর সমীক্ষা রিপোর্টে

 

  • সিএসআইআর-এর সমীক্ষা রিপোর্টের তথ্য 
  • দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষেই করোনা আক্রান্ত 
  • সেপ্টেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর ছিল
  • অ্যান্টি বডির মাধ্যেই লড়াই করেছে অনেক ভারতীয় 
     

Asianet News Bangla | Published : Jan 17, 2021 12:57 PM IST


শনিবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়ে গেছে করোনাভাইরাসের টিকাকরণ কর্মসূচি। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর মানুষ টিকা গ্রহণ করেছেন। আর তারই মধ্যে সামনে এসেছে কাউন্সিল অব সায়েন্টেফিক অ্যান্ড ইনড্রাস্ট্রিয়াল রিসার্চের রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে দেশের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আর সেটি দেশের অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। 

সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইনড্রাস্টিয়াল কাউন্সিল বা সিএসআইআর, ভারতের ২৪টি শহরে ২৪টি ল্যাব ও কেন্দ্রগুলিতে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সিরোপোসিটিভিটির একটি মূল্যায়ন করেছে। সিরোপজেটিভিটির অর্থ হল রক্তের মধ্যে অ্যান্টিবডি রয়েছে এমন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা। সেখানে দেখা যাচ্ছে ১০.১৪ শতাংশেরও বেশি মানুষকে সিরোপজেটেভিটিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর সেই তথ্য ধরেই দাবি করা হয়েছে ২০২০ সালে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশে ১০০ মিলিয়নের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছিল আর সুস্থ হয়েছিল। যাতে মূল ভূমিকা গ্রহণ করেছিল অ্যান্টিবডি। এটি মূলত ঘটেছিল দেশের বড় শহরগুলিতে। পরে তা গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২০র সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশেএক মিলিয়নের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়। তারপর তারা নিরপেক্ষ অ্যান্টিবডি নিয়ে সুস্থ হয়ে যায়। 

কৃষি আইন বাতিল ছাড়া আর কী দাবি জানতে চাইলেন কৃষি মন্ত্রী, আইনের পক্ষেই সওয়াল অমিত শাহর ...

বাইডেনের প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাচ্ছেন ২০ ভারতীয়, দেখে নিন কে কী দায়িত্বে থাকবেন ...

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযয়ী সেপ্টেম্বরের মধ্যে করোনা মহামারি দেশে ব্যপক আকার ধারণ করেছিল। সেপ্টেম্বরের পর থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সমীক্ষায় দেখা গেছে বড় শহরগুলিতে সিরোপজেটেভিটির সংখ্যা পাশাপাশি বলা হয়েছে বেশিরভাগ ভারতবাসীর মধ্যেই কম থেকে মাঝারি সিরোপজেটিভিটি রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে আক্রান্তদের মধ্যে ২৫ শতাংশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণ থাকলেও ৭৫ শতাংশেরও কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। 

সংস্থাটি মূলত ১০ হাজার ৪২৭জন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি , স্বেচ্ছাসেবী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই সমীক্ষা চালান হয়েছিল। পাশাপাশি দেখা হয়েছিল ৬ মাসের বেশি সময় ধরে অ্যান্টিবডি কর্যকর থাকে কিনা। আর সেই সমীক্ষাতে ১০.১৪ শতাংশ ব্যক্তির মধ্যে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডির উপস্থিতি লক্ষ্যে করা গেছে। তিন মাস পরে ৩৪৬ জন সিরোপজেটিভিটি ব্যক্তির একটি ফলোয়াপ করা হয়। তাতেই দেখা গেছে তাঁদের শরীরে সার্স কোভ ২ বিরুদ্ধে উচ্চ অ্যান্টিবডি রয়েছে। ছমাসে ৩৫ জন ব্যক্তির পুনরায় নমুনা প্রকাশে ফলে অ্যান্টিবডি স্তর হ্রাসের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে টিকা প্রদান প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে তাদের সমীক্ষা রিপোর্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। 
 

Share this article
click me!