জ্যোতিরাদিত্য সিদ্ধান্ত এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার তীব্র সমালোচনা করেন
'নিজেদের অনাস্থা প্রস্তাবেই আস্থা নেই বিরোধীদের', বিরোধীদের কটাক্ষ বিজেপি সাংসদ জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কে তাঁর ভাষণের সময়ই বিরোধীরা হৈহট্টোগোল করে লোকসভা ত্যাগ করল। যদিও স্পিকারের আসনে থাকা সাংসদ তাঁদের বলেন, 'আপনারা সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন। আপনাদের সমস্তা বক্তব্য শোনা উচিৎ।' কিন্তু তারপরেও বিরোধীরা লোকসভা থেকে বেরিয়ে যান। প্রশ্ন জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, 'এখন তাঁরা লোকসভা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দেশের মানুষই তাদের বাইরে যাওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে। ' সিদ্ধিয়ার পরই অনাস্থা প্রস্তব বিতর্কে জবাবি ভাষণ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে মোদী জানিয়েছেন তিনি বিকেল ৪টের সময় জবাবি ভাষণ দেবেন।
জ্যোতিরাদিত্য সিদ্ধান্ত এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি অধীর চৌধুরীর পরে বলতে শুরু করেন। ইন্ডিয়া জোট নিয়ে এই রাজ্যের বাম কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোট নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করেন অধীরকে। বলেন অধীরই বলেছেন, রাজনীতিতে জরুরি এই জোট। কিন্তু রাজনীতিতে জরুরি বলে কোনও কথা হয় না বলেও স্মরণ করিয়ে দেন জ্যোতিরাদিত্য সিদ্ধিয়া। তিনি আরও বলেন, বিরোধীদের কারণেই তিন দল ছাড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন। পাশাপাশি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'তাঁকে যেন মুখ খুলতে বাধ্য করা না হয়।'
জ্যোতিরাদিত্য সিদ্ধিয়া এদিন সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে সওয়াল করে বলেন নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহের আমলে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির প্রভূত উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তার আগের সরকারের আমলে এই উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির জন্য তেমন কোনও কাজ হয়নি। তিনি আরও বলেন, এর আগেও মণিপুর উত্তাল হয়েছিল হিংসার ঘটনা ঘটেছিল কিন্তু তৎকালীন কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও আর মনমোহন সিং কোনও কথাই বলেননি। তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কেন এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টের সময় অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোস্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তেমনই জানিয়েছেন তিনি। তবে তার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধি দলে সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সংসদে কেন্দ্র সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে রাজনাথ সিং, প্রহ্লাদ জোশী, পীযূষ গোয়াল, অর্জুন মেঘাওয়ালের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকের আলোচনার বিষয় কিছুই প্রকাশ করেননি বিজেপি। অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কের শুরুর দিনও প্রধানমন্ত্রী দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বাদল অধিবেশনের শুরুর দিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন। সংসদে ঢোকার মুখেই প্রধানমন্ত্রী মণিপুরে মহিলাদের বিবস্ত্রকরে রাস্তা দিয়ে হাঁটানোর তীব্র সমালোচনা করেন। মাত্র ৩৬ সেকেন্ড কথা বলেন। তারপর আর এই বিষয় নিয়ে কিছুই বলেলননি।
আরও পড়ুনঃ
অধীর চৌধুরীর ভাষণ শুনতে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী, পিছনে কোন রাজনীতি বিজেপির
সংসদে মোদীর জবাবি ভাষণ বিকেল ৪টে, রণকৌশল ঠিক করতে রাজনাথদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর