বিএসএফ জম্মুর জনসংযোগ আধিকারিক বলেছেন, ভারতের তরফে পাকিস্তানি উসকানির যথাযথ এবং নিষ্পত্তিমূলক জবাব দিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে কোনো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার অর্থাৎ ছয়ই সেপ্টেম্বর, পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে পাকিস্তানি সেনারা আধাসামরিক বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সেনাদের ওপর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ভারত সফরে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাকিস্তান এই রাজনৈতিক উন্নয়ন হজম করতে পারছে না। মঙ্গলবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের আর্নিয়া সেক্টরে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের টহল দলের ওপর গুলি চালায় পাকিস্তানি রেঞ্জার্স। জানা গিয়েছে বিএসএফও উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।
বিএসএফ জম্মুর জনসংযোগ আধিকারিক বলেছেন, ভারতের তরফে পাকিস্তানি উসকানির যথাযথ এবং নিষ্পত্তিমূলক জবাব দিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে কোনো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে “আজ সকালে সতর্ক বিএসএফ জম্মুর জওয়ানরা আর্নিয়া সেক্টরে বিএসএফ টহল দলের উপর পাকিস্তান রেঞ্জারদের বিনা উস্কানিতে গুলি চালানোর উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। বিএসএফের কোনও জওয়ানের কোনও ক্ষতি হয়নি।”
বিএসএফের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এসপিএস সান্ধু পৃথকভাবে বলেছেন, "আজ সকালে, বিএসএফ জম্মু সৈন্যরা বিএসএফের একটি টহল দলের উপর পাকিস্তান রেঞ্জার্সের বিনা উস্কানিতে গুলি চালানোর উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।"
মনে রাখা দরকার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের মত খুব কম ঘটনাই ঘটিয়েছে। এই দুই প্রতিবেশী সমস্ত "চুক্তি, সমঝোতা এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং অন্যান্য সমস্ত সেক্টরে যুদ্ধবিরতি" কঠোরভাবে পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর এই প্রথমবারের মতো উভয় দেশই যুদ্ধবিরতি মেনে চলার সিদ্ধান্ত নেয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এই বছরের শুরুতে ফেব্রুয়ারিতে বলেছিল যে ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সাল থেকে যুদ্ধবিরতি চলছে এবং গত দেড় বছরে পাকিস্তানি সেনাদের গুলি চালানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু মঙ্গলবার এই চুক্তি ভঙ্গ করে পাকিস্তান।
২০২১ সালের চুক্তির আগে, ২০২০ সালে ৫১৩৩টি, ২০১৯ সালে ৩৪৭৯টি এবং ২০১৮ সালে ২১৪০টি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হয়েছিল। তবে গত বছর এসব ঘটনা প্রায় ৭০০-এ নেমে আসে। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান এখনও পাওয়া যায় নি।