আদানি এবং অন্যান্য ইস্যুতে সংসদের ভিতরে ও বাইরে ইন্ডিয়া জোট আজ দুই ভাগে বিভক্ত ছিল।
আবারও উত্তাল সংসদ। সংসদীয় কার্যক্রমে সহযোগিতা করলেও বিরোধী প্রতিবাদে আবারও যেন মতবিরোধ ধরা পড়ল। আদানি এবং অন্যান্য ইস্যুতে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে ইন্ডিয়াজোট আজ দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। সম্ভল সংঘর্ষের পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অখিলেশ যাদব গুরুতর একটি অভিযোগ করেছেন। শুধুমাত্র আদানি ইস্যুতেই অবস্থান নেওয়ার জন্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বামপন্থীরাও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে।
যদিও সংসদের কার্যক্রম ব্যাহত না করেই সংসদের ভিতরে এবং বাইরে প্রতিবাদ করাই ছিল কংগ্রেসের পরিকল্পনা। কিন্তু সংসদের বাইরের প্রতিবাদে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি শুধুমাত্র আদানি ইস্যুতেই সরব ছিল। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং অন্যান্য ইস্যুতে বাকি দলগুলি প্রতিবাদ জানিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি বাইরের প্রতিবাদে অবশ্য অংশ নেয়নি। এদিন অধিবেশন শুরু হতেই সরকারের বিরুদ্ধে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী এবং ডিএমকে সহ অন্যান্য দলগুলি স্লোগান দিতে শুরু করে। যদিও তাতে আবার কংগ্রেস অংশ নেয়নি।
তবে সম্ভল ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টির সংসদে প্রতিবাদ জানানোর বিষয়টিতে কিছুটা অবাক হয় কংগ্রেসও। কারণ, যৌথভাবে এই ইস্যুটি উত্থাপন করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। পরে রাহুল গান্ধী এবং অখিলেশ যাদবের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়। এরপরেই বিরোধী দলগুলি একসঙ্গে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সমাজবাদী পার্টি সম্ভল ইস্যু উত্থাপন করা মাত্রই তৃণমূল কংগ্রেস বাংলাদেশ ইস্যু উত্থাপন করে। তবে জোটের দলগুলি একের পর এক সরে যেতে শুরু করার পর, রাহুল গান্ধী সংসদীয় কার্যক্রমে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।