দ্রুত করোনার প্রতিষেধক বাজারে আনতে মরিয়া চেষ্টায় 'বিশ্বের ফার্মেসি ভারত', দাবি করল আইসিএমআর

করোনাভাইরাস সংক্রমণে প্রতিষেধক জরুরি
তাই ছাড়পত্র দিতে সময় নষ্ট করা উচিৎ নয় 
বিশ্বের ফার্মেসি ভারত ৬০ শতাংশ ওষুধ সরবরাহ করে 
দাবি করেছে আইসিএমআর 
 

Asianet News Bangla | Published : Jul 14, 2020 3:59 PM IST

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গোটা বিশ্বই প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সংক্রমণ রুখতে প্রতিষেধগুলির নিয়ন্ত্রণে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য একদিনেরও বেশি বিলম্ব করা ঠিক নয়। জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের প্রধান বলরাম ভার্গব। গবেষকরা ইতিমধ্যেই তৈরি প্রতিষেধক স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর প্রয়োগ করে  ক্লিনিক্যালি পর্যবেক্ষণ করেছেন। 

বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন দুটি প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক আর জায়ান্ট জাইডাস ক্যাডিলার সঙ্গে আইসিএমআর গাঁটছড়া বেঁধে প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে ভার্গব দাবি করেছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ছাড়পত্র দেওয়া উচিৎ। 

তিনি আরও জানিয়েছেন, দেশীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে ইতিমধ্যে প্রতিষেধক ইঁদুর খরগোসের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। আর সেই তথ্যই জমা দেওয়া হয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনালের অব ইন্ডিয়ার কাছে। প্রথমিক ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।  বর্তমানে তাঁরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দিকে মনোনিবেশ করেছেন বলেও জানিয়েছেন। 

শুধু ভারত নয়  মহামারী প্রতিরোধ করতে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ প্রতিষেধক তৈরির দিকে এগিয়েছে। রাশিয়া অনেকটাই সফল হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন বিশ্বের যেসব দেশ প্রতিষেধক তৈরি করছে তাদের একবার চিন ও ভারত থেকে তা পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এই দুটি দেশ প্রতিষেধক তৈরিকে প্রথম সারিতে রয়েছে। তিনি আরও দাবি করেছেন বিশ্ব ৬০ শতাংশ প্রতিষেধক সরবরাহ করে ভারত। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন প্রতিষেধক বিতরণের জন্য অবশ্যই ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিৎ। 

এদিন বলরাম ভার্গব ভারতকে বিশ্বের ফার্মাসি বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত ৬০ শতাংশ ওষুধই ভারতে তৈরি। ভারতের ওষুধ নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশই প্রশংসা করে। ভারতীয় ওষুধ ও টিনা সম্পর্কে রীতিমত যত্নবান আফ্রিকা, ইউরোপ, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি। কারণ এইসব দেশের ৬০ শতাংশই ভারত থেকে সরবরাহ করা হয়। তাই প্রতিষেধক সরবরাহকারী দেশ হিসেবে ভারত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেছেন। 
 

Share this article
click me!