তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়নের নতুন টুইট। সংসদে আসার আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
চলতি সপ্তাহেই শেষ হবে সংসদের বাদল অধিবেশন। আর তাই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাসংদ ডেরেক ও'ব্রায়ন আরও নিশান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে ডেরেক বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আপনি সংসদের আসুন। আর একই সঙ্গে সাংসদে উপস্থিত বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদদের দাবিগুলি শুনুন। তৃণমূল সাংসদ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বার্তার সঙ্গে ট্যাগ করেছেন কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, এমনকি সিপিএমকেও। পাশাপাশি দক্ষিণের বেশ কিছু আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলকেও ট্যাগ করেছেন তিনি। সঙ্গে দিয়েছেন একটি তিন মিটিনের অডিও ক্লিপও।
রাহুল গান্ধীর টুইটার বিতর্ক, কংগ্রেসের দাবিতে পুরো জল ঢালল টুইটার ইন্ডিয়া
তিন মিনিটের অডিও ক্লিপে ডেরেক তুলেধরেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলেপ সাংসদদের বার্তা। কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের পেগাসাস ইস্যু নিয়ে সাংসদে আলোচনা করতে চাইছেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুধাংশু শেখর চাইছেন বাক স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করতে। পাশাপাশি বাকি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদের কেউ চাইছেন পেগাসাস নিয়ে আলোচনা হোক কেউ আবার চাইছেন বর্তমান ভারতের জ্বলন্ত সংস্যা কৃষক আন্দোনল, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ নারীনির্যাতনেক বিষয়গুলি উঠে আসুন রাজ্যসভার আলোচনায়। কিন্তু সরকার তা চাইছে না বলেও অভিযোগ বিরোধীদের। বিরোধীরে দাবির সেই ভিডিও প্রকাশ করেই ডেরেক আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে উপস্থিত থেকে বিরোধীদের দাবি শুনুক।
অন্ধকারে ভারতের আকাশে পাক ড্রোনের হামলা,সীমান্ত পেরিয়ে নদীর ধারে ফেলে গেল প্রচুর অস্ত্র
যদিও বাদল অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখনও পর্যন্ত মাত্র একবারই সংসদে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদরা প্রবল হৈহট্টগোল জুড়ে দেন। তারপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন অনেক বিরোধী সাংসদরা রয়েছেন, যাঁরা চাইছেন না মন্ত্রিসভাচ মহিলা আর পিছিয়ে পড়া মানুষ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করুক।
অভাবেরর খাদের সামনে চার মেয়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে স্ত্রী, হাতড়ে বেড়াচ্ছেন স্বামীর মৃত্যুর কারণ
লোকসভা আর রাজ্যসভা- দুটি কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ট বিজেপি। তাই বিরোধীদের তোয়াক্কা না করেই একের পর এক বিল পাশ করানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। বিলগুলি নিয়ে তেমন কোনও আলোচনা সংসদে হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। যদিও এখনও পর্যন্ত বিরোধীরা কৃষক আন্দোলন, পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, পেগাসাস ইস্যুসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনার দাবি জানালেও এখনও পর্যন্ত কোনও বিষয় আলোচনার করার ছাড়পত্র দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।