মোদী স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিতে দিয়ে বলেন, 'লালবাহাদুর শাস্ত্রী স্লোগান তুলেছিলেন জয় জওয়ান জয় কিষান। তার সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অটল বিহারী বাজপেয়ী জয় বিজ্ঞান জুড়ে দিয়েছিলেন।
স্বাধীনতার ৭৫তম বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আধুনিক ভারতের গঠনের ওপর জোর দিলেন। আগামী ২৫ বছরে ভারত যাতে উন্নত দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সেই প্রকল্প নিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মোদী স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিতে দিয়ে বলেন, 'লালবাহাদুর শাস্ত্রী স্লোগান তুলেছিলেন জয় জওয়ান জয় কিষান। তার সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অটল বিহারী বাজপেয়ী জয় বিজ্ঞান জুড়ে দিয়েছিলেন। আর আমি দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জয় অনুসন্ধান (গবেষণা) এটা জুড়ে দিচ্ছে।' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন স্টার্টআপ সংস্থাগুলির সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি প্রতিরক্ষাখাতে ভারত ধীরে ধীরে আত্মনির্ভর হচ্ছে বলেও দাবি করেন। এভাবেই আগামী দিনে দেশ আরও এগিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন বর্তমান ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। আর ভারতীয় গবেষক বা বেসরকারি সংস্থাগুলির উচিৎ ভারতবাসীর প্রত্যাশা পুরণের পাশাপাশি বিদেশী দেশগুলির প্রত্যাশা পুরণ করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, প্রাচীন ঐতিহ্য ও অধিুনিকতার মেল বন্ধনেই দেশ এগিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা বর্তমান ভারতের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। এই লড়াইয়ে তিনি ভারতবাসীর সাহায্য চেয়েছেন। পাশাপাশি পরিবাততন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেও বলেছেন দেশবাসীকে।
অন্যদিকে এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টেলিপ্রিন্টার নয় কাগজের নোট ব্যবহার করেন। লালকেল্লা থেকে এটাই ছিল মোদীর নবম ভাষণ। আদাজি কা অমৃত মহোৎসব প্রকল্প পালিত হচ্ছে দেশে। দেশবাসীকে শুভেচ্ছা দেওয়ার সময়ই তাঁর টেলিপ্রিন্টার সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি কাগজের নোট দেখেই একের পর এক প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।
এদিনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাশাপাশি সমাজ সংস্কারকদেরও স্মরণ করেন ও শ্রদ্ধা জানান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম উচ্চারণ করেন। তিনি গান্ধীজির পাশাপাশি ভগৎ সিং, রাজগুরুদেরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন এই স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ব্রিটিস শাসনের ভীত নড়িয়ে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে ভারত বিবেকানন্দ, অরবিন্দ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মহান চিন্তাবিদদের আবাসস্থল।
লাল কেল্লায় তার বক্তৃতা শুরু করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন যে এটি ভারতের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন কারণ এটি একটি নতুন সংকল্পের সাথে একটি নতুন পথ নেয়। লাল কেল্লায় তার বক্তৃতার আগে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশীয়ভাবে তৈরি হাউইৎজার বন্দুক, ATAGS দ্বারা 21-বন্দুকের স্যালুটের মধ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। এরপর হেলিকপ্টার থেকে ফুলের পাপড়ি বর্ষণ করা হয়। এর আগে, শ্রদ্ধা জানাতে রাজঘাটে যান প্রধানমন্ত্রী মোদি।