ফের কোভিড টিকাকরণে লাগু হচ্ছে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ
রাজ্যগুলিকর চাহিদা মেনে একমাস আগেই এই প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছিল
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ পেরানোর ব্যাপারে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী
জেনে নিন এর পিছনের গল্প
সোমবার ফের কোভিড টিকাকরণ প্রক্রিয়া নিজেদের দখলে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী ২১ জুন তারিখ থেকে সকল প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়, অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি, তাদের বিনামূল্যে টিকা দেবে কেন্দ্র। এদিন এই বিরাট ও তাফপর্যপূর্ণ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হলেও, কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে ৬দিন আগেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন ঘোষণা করা হলেও, তলায় তলায় এর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল আগেই।
গত ১৬ জানুয়ারি ভারতে করোনার টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছিল। তারপর থেকে ১ মে তারিখ পর্যন্ত বিশ্বের বৃত্তম টিকাকরণ অভিযান পরিচালনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকারই। সরকারের পক্ষ থেকে নির্মাতাদের কাছ থেকে টিকা কিনে রাজ্যে রাজ্যে পাঠানো হত। ১ মে তারিখে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়স গোষ্ঠীকে টিকীা দেওয়ার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে, টিকাকরণ অভিযানটিকেও বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছিল। অর্থাৎ, রাজ্যগুলি নিজেদের মতো করে টিকা কিনতে পারত। কিন্তু, টিকাকরণ অভিযান রাজ্যগুলির উপর ছেড়ে দেওয়ার পর দেখা গিয়েছে, ভারতে টিকাদানের গতি শ্লথ হয়েছে। তার উপর যে রাজ্যগুলি প্রথমে এই প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রীকরণ চেয়েছিল, তারাই পরবর্তী ক্ষেত্রে টিকা কেনার ভার রাজ্যগুলির কাঁধে চাপানোর জন্য কেন্দ্রকে দুষেছিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রটি জানিয়েছে, এই বিকেন্দ্রীভূত কোভিড টিকাকরণ মডেলটি এক মাস ধরে চলার পর ১ জুন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই মডেলের পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছিল। আর সেখানেই ফের এই টিকাকরণ প্রক্রিয়া কেন্দ্রের কড়ায়ত্ব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা সেখানে নতুন মডেলে কোথায় কোথায় অসুবিধা হচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর সামনে তুলে ধরেছিলেন। এরপরই প্রধানমন্ত্রী ফের টিকাদানের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিলেন। পরের ৬ দিনে ভ্যাকসিন নির্মাতাদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করা-সহ ভিত তৈরির কাজ চলে। তারপর যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে এদিন এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।