'নিখোঁজ' গুরুদাসপুরের বিজেপি সাংসদ ও অভিনেতা সানি দেওল। অন্তত এই মর্মেই পোস্টার পড়ল পঞ্জাবের পাঠানকোট জেলায়। যা কিনা গুরুদাসপুর লোকসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত। কে বা কারা কে পোস্টারগুলি লাগিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে সোমবার সানি টুইট করে দাবি করেছেন তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরাই এই 'জ্ঞানহীন' কাজের পিছনে রয়েছে।
পাঠানকোটের রেলস্টেশন, বাসস্টপ থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত জনবহুল এলাকাতেই রয়েছে এই পোস্টার। তাতে লেখা 'গুমশুদা কি তালাশ এমপি সানি দেওল'। তাতেই নড়ে চড়ে বসেছেন দেওলদের বড়ভাই। এদিন তিনি তড়িঘড়ি টুইট করে ভোটারদের জন্য ভবিষ্যতে গুরুদাসপুরে বেশ কিছু বড় প্রকল্প আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সেই সঙ্গে তিনি জানান, ইতিমধ্য়েই পাঠানকোট শহরের ট্র্যাফিক সমস্যার সমাধানে গৃহীত প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তহবিল অনুমোদন করেছে। জানান, ভোটাররা তাঁর প্রতি বিশ্বাস রেখেছিলেন বলেই তিনি এত কাজ করতে পেরেছেন। ভবিষ্যতে আরও বড় প্রকল্প আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে এতে করে বিরোধীদের থামানো যাচ্ছে না। গত বছর জুলাই মাসে জনপ্রতিনিধি হওয়ার পরই তাঁর নির্বাচনী এলাকায় তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে গুরপ্রীত সিংহ পালহেরি নামে এক লেখককে নিযুক্ত করেছিলেন সানি দেওল। গুরপ্রীতই তাঁর হয়ে সভা-সমিতি'তে যোগ দেওয়া এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি অনুসরণ করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
সেই সময় থেকেই তিনি কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের নিশানা হয়েছিলেন। আর এইবার এই পোস্টারের পর কংগ্রেস হাতে অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা তথা আনন্দপুর সাহিব কেন্দ্রের সাংসদ মনীশ তিওয়ারি বলেছেন, সানির বাবা তথা বিশিষ্ট অভিনেতা ধর্মেন্দ্র-ও সাংসদ হওয়ার পর বিকানির কেন্দ্রে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তেওয়ারি টুইট করে দাবি করেন ছেলেও বাবার পথেই হাঁটছেন।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে সানি দেওল গুরুদাসপুর আসনে কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী সুনীল যখরকে ৮২,৪৫৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন।