প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ ২০২৫: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শুরু হয়েছে। প্রায় ৪৫ দিন ধরে চলা এই মেলায় ৪০ কোটিরও বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মহাকুম্ভের বিশেষ আকর্ষণ এখানে আসা লক্ষ লক্ষ নাগা সন্ন্যাসী।
নাগা সাধুদের ইতিহাস: বিশ্বের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় মেলা মহাকুম্ভ উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মহাকুম্ভ ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। প্রায় ৪৫ দিন ধরে চলা এই মেলায় ৪০ কোটি মানুষের আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। এই মেলায় সবচেয়ে বেশি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলেন নাগা সন্ন্যাসীরা। নাগা সাধুদের ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন। নাগা সাধুদের ধর্ম রক্ষকও বলা হয় অর্থাৎ যখনই হিন্দু ধর্ম বিপন্ন হয়েছে, তখনই নাগা সাধুরা রক্তপাত করতেও পিছপা হননি। জেনে নিন ধর্ম রক্ষার জন্য নাগা সাধুরা কখন কখন অস্ত্র ধারণ করেছিলেন…
১৭৫৭ সালের কথা, যখন আহমদ শাহ আবদালী তার সেনাবাহিনী নিয়ে ভারতে এসেছিলেন। সেই সময় তিনি সারা দেশে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড চালান এবং তারপর মথুরা, বৃন্দাবন এবং গোকুলেও দখল করার চেষ্টা করেন। তখন নাগা সাধুরা তাকে যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন। এই যুদ্ধে ৩ হাজার নাগা ৩০ হাজার আফগান সৈন্যকে পরাজিত করেছিলেন। এই যুদ্ধে ২ হাজারেরও বেশি নাগা সাধুর মৃত্যু হয়েছিল।
ইতিহাসের মধ্যযুগে নাগা সাধুরা ধর্ম রক্ষার জন্য অনেক যুদ্ধ করেছিলেন এবং জিতেও ছিলেন। এর মধ্যে একটি যুদ্ধ ছিল ব্যাটেল অফ জ্ঞানবাপী। ১৬৬৪ সালে ঔরঙ্গজেবের সেনাবাহিনী কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে আক্রমণ করে, সেই সময়ও নাগা সাধুরা যুদ্ধ করেছিলেন, যার ফলে মুঘল সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এই যুদ্ধকে ব্যাটেল অফ জ্ঞানবাপী বলা হয়।
১৬৬৬ সালে হরিদ্বার কুম্ভ মেলায় ঔরঙ্গজেবের সৈন্যরা হিন্দু সাধু-সন্তদের উপর আক্রমণ করে। তখনও নাগা সন্ন্যাসীরা মুঘল সেনাবাহিনীর মোকাবেলা করেছিলেন। এই নাগা সাধুদের মধ্যে স্বনামধন্য গোস্বামী এবং রাজেন্দ্র গিরির মতো সন্তদের নাম উল্লেখযোগ্য।
দাবিত্যাগ
এই প্রবন্ধে যে তথ্য রয়েছে, তা জ্যোতিষীদের দ্বারা বলা হয়েছে। আমরা কেবল এই তথ্য আপনার কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম। ব্যবহারকারীরা এই তথ্যগুলিকে কেবল তথ্য হিসাবে বিবেচনা করুন।