'পতিতাবৃত্তি কোনও অপরাধ নয়', হাইকোর্টের রায়ে অবশেষে মুক্ত তিন যৌনকর্মী

পতিতাবৃত্তি কোনও ফৌজদারি অপরাধ নয়

সাফ জানিয়ে দিল বম্বে হাইকোর্ট

প্রাপ্তবয়স্ক মহিলারা চাইলে পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিতেই পারেন

আইনের চোখে তাহলে কোনটা অপরাধ, শাস্তিযোগ্য

 

amartya lahiri | Published : Sep 27, 2020 1:54 PM IST

আইনের চোখে পতিতাবৃত্তি কোনও ফৌজদারি অপরাধ নয়। প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের স্বাধীনভাবে তাদের পেশা বেছে নেওয়ার অধিকার আছে। গত বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের একটি সরকারি সংশোধনগারে আটক তিন মহিলা যৌনকর্মীর মুক্তির আবেদনের ভিত্তিতে হওয়া মামলার শুনানিতে এমনি রায় দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। আদালত ওি তিনজনের অবিলম্বে মুক্তির আদেশ দিয়ে বলেছে, অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৫৬-এর অধীনে পতিতাবৃত্তি কোনও ফৌজদারি অপরাধ নয়। শাস্তিযোগ্য হল, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বা অর্থ উপার্জনের জন্য কোনও ব্যক্তির যৌন শোষণ বা অপব্যবহার।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এক অতিথিশালায় অভিযান চালিয়ে ওই তিন মহিলা যৌনকর্মীকে ধরেছিল মুম্বই পুলিশ। তাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স কুড়ির ঘরে। গ্রেফতার করা হয়, তাদের মধ্যস্থতাকারীদেরও। পুলিশ ওই তিনজনকে ধরে নিয়ে গেলেও তাদের অপরাধী হিসাবে ধরা হয়নি, বরং অপরাধের শিকার হিসাবেই আটক করে শহরের একটি সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীকালে, ওই তিন মহিলার মা এবং অন্যান্য অভিভাবকরা তাদের হেফাজত চেয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, ম্যাজিস্ট্রেট তাদের আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই আদেশকেই বম্বহে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।

হাইকোর্টে ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ খারিজ হয়ে গিয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারপতি সাফ জানান, ওই মহিলারা প্রত্যেকেই 'প্রাপ্তবয়স্ক' এবং তাদের 'অবাধে চলাফেরা এবং নিজেদের পছন্দমতো পেশা চয়ন করার মৌলিক অধিকার রয়েছে'। যেহেতু তাদের পাচার প্রতিরোধ আইনে আটক করা হয়নি. তাই সংশোধনাগারে একদিনও আটকে রাখার প্রশ্ন ওঠে না। আর অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৫৬,  প্রয়োগ করলেও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের পরে কোনও চূড়ান্ত আদেশ না পেলে তিন সপ্তাহের বেশি ভুক্তভোগীদের হেফাজতে রাখার ক্ষমতা নেই ম্যাজিস্ট্রেটের।

Share this article
click me!