প্রধান বিচারপতি জবাবে বলেন, "এই পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হঠকারিতা হবে। হাইকোর্ট কোন পথে এগোচ্ছে দেখে নিয়ে তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হিজাব ইস্যুতে (Hijab Case) গোটা দেশ তোলপাড়। উত্তাল গোটা কর্ণাটক (Karnataka)। এই ইস্যুতে শুনানি চেয়ে ও হস্তক্ষেপ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা (Congress Leader) ও আইনজীবী কপিল সিবাল (Kapil Sibbal)। তিনি অনুরোধ করেন এই সমস্যা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অবিলম্বে এই ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করা উচিত।
এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানা জানান বিষয়টি ভেবে দখবেন তাঁরা। কর্ণাটকের একজন কলেজ ছাত্রী ফাতিমা বুশরা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের আবেদনটি দায়ের করেন। সেই আবেদনই উত্থাপন করেছিলেন কপিল সিবাল। ফাতিমা আবেদনে বলেন হিজাবের উপর বিধিনিষেধের কারণে তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন: "বিষয়টি হাইকোর্ট শুনুক। আজ তিন বিচারপতির বেঞ্চে তা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।" এর প্রেক্ষিতে সিবাল জানান পরীক্ষা আর দুই মাস বাকি। তার আগেই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। প্রধান বিচারপতি জবাবে বলেন, "এই পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হঠকারিতা হবে। হাইকোর্ট কোন পথে এগোচ্ছে দেখে নিয়ে তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ যদি বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের তালিকাভুক্ত হয়, তাহলে হাইকোর্ট বিষয়টি শুনবে না।
আরও পড়ুন- হিজাব পরায় কলেজ ছাত্রীকে কড়া ধমকানি. প্রথম দফা ভোটগ্রহণের আগে নয়া বিতর্কে
আরও পড়ুন- হিজাব ইস্যুতে মুখ খুললেন মোদী, মুসলিম মহিলাদের বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে, এদিনই এই ইস্যুতে শুনানি ছিল কর্ণাটক হাইকোর্টে। কর্ণাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court) প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) বলেছেন যে বেঞ্চ কলেজগুলি (colleges) খোলার নির্দেশ দিয়েছে। তবে হাইকোর্ট জানিয়েছে বিষয়টি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনও শিক্ষার্থীকে ধর্মীয় পোশাক পরার জন্য জোর করা উচিত নয়। সোমবার দুপুর ২.৩০ নাগাদ ফের এই মামলার শুনানি হবে।
কর্ণাটক হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সিনিয়র আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে এবং দেবদত্ত কামতের কথা শোনার পর সোমবার শুনানি স্থগিত করে। হাইকোর্ট এদিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আচরণে চরম সংযম বজায় রেখে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র জানিয়েছেন হিজাব ইস্যুতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চলচে। প্রশাসন সেই উদ্দেশ্য সফল হতে দেবে না। বিশেষ করে ছাত্র ছাত্রীদের এই ধরণের ঘটনায় হাতিয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
কর্ণাটক হাইকোর্ট এদিন জানায়, "হেডস্কার্ফ পরা মৌলিক অধিকারের মধ্যে আসে কিনা তা আমরা বিবেচনা করছি। হেডস্কার্ফ পরা ধর্মীয় অনুশীলনের একটি অপরিহার্য অংশ কিনা তাও আমরা বিবেচনা করছি। বৃহস্পতিবার সিনিয়র আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে জানান ইউনিফর্ম কোড লঙ্ঘনের জন্য শাস্তির কোন বিধান নেই।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের উপকূলীয় শহর উদুপিতে একটি সরকারী প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছয়জন মুসলিম মেয়েকে হিজাব পরে ক্লাসে যেতে বাধা দেওয়া হয়। জানানো হয় ওই কলেজের নিয়ম অনুসারে পয়লা জানুয়ারি থেকে হিজাব পরে কলেজে আসা নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এরপরেই প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। হিন্দু কলেজের ছাত্ররা জাফরান স্কার্ফ পরে এবং জাফরান পতাকা নেড়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে।