দলের নেতৃত্ব এখনও বিবাদ মেটেনি। শতাব্দী প্রাচিন দলটির হাল কে ধরবে তা নিয়ে এখনও স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি সনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধী এমনকি দলের বর্ষিয়ান নেতারাও। কিন্তু এই অবস্থায় দাঁড়িয়েও প্রধানপ্রতিপক্ষ নরেন্দ্র মোদীকে নিত্যদিন আক্রমণ করে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। করোনাভাইরাস, বেহাল অর্থনীতি থেকে শুরু করে লাদাখ ইস্যু-- নিত্যদিন কোনও না কোনও বিষয় তিনি আক্রামণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এদিন লাদাখের পাশাপাশই দেশের বেহাল অর্থনীতি নিয়ে তিনি খোঁচা দিয়েছেন।
সোমবার অবশ্য রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিবর্তে দলীয় একটি বৈঠকেই রাহুল নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন সরকারের অস্বীকার পদ্ধতি দেশকে টাইটানিকের মত ডুবিয়ে দিতে চলেছে। যদিও দেশের গণমাধ্য়ম আর প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণের কথা না শোনার জন্য সরকার কান বন্ধ করে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিন বৈঠকে রাহুল গান্ধী আরও বলেন যে প্রধানমন্ত্রী যা চান তা যে তিনি সবসময় পাবেন এমনটা হতে পারে না। বেকারত্ব থেকে অর্থনীতি ও চিনের আগ্রাসন হঠাৎ করেই সামনে আসবে। যেমনটা হয়েছিল টাইটাইনিকের ক্ষেত্রে। একটা আচমকাই সামনে এসে পড়া একটা বরফের পাহাড়ের ধাক্কা লেগে চুরমার হয়ে গিয়েছিল বিশালআকারের জাহাজটি। লাদখ সীমান্তের উত্তেজনা নিয়েই উষ্মা প্রকাশ করেন রাহুল গান্ধী। দলীয় বৈঠকেই তিনি প্রশ্ন করেন সরকার কী করে বলতে পারে যে সেখানে কোনও অনুপ্রবেশ হয়নি, যখন বারবার দেশের সেনা বাহিনীকে প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়াতে হচ্ছে। এই বিষয়গুলি সংসদে উত্থাপত করতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে এই বৈঠকের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস ইস্যুতে নিশানা করেন মোদী সরকারকে। তিনি বলেন, সংক্রমণ রুখতে ব্যর্থ সরকার। বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ভারত। ব্রাজিল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট আক্রান্তের থেকেও বেশি ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে কংগ্রেস। সেখানে বাদল অধিবেশনে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেই বৈঠকে স্থির হয়েছে ১১টি অধ্যাদেশ প্রত্যাখান করবে কংগ্রেস। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি সংক্রমণ এড়াতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে।