Election Laws Bill: পেশের একঘন্টার মধ্যে রাজ্যসভায় পাশ ইলেকশন ল অ্যামেন্ডমেন্ট বিল

কংগ্রেস, টিএমসি, বাম দল, ডিএমকে এবং এনসিপি-র সদস্যরা এই বিলের প্রতিবাদে হাউস থেকে ওয়াকআউট করেন। বিজেপি, জেডি(ইউ), ওয়াইএসআরসিপি, এআইএডিএমকে, বিজেডির সাংসদরা  বিলটিকে সমর্থন করেছে। 

Parna Sengupta | Published : Dec 21, 2021 4:43 PM IST

বিরোধীরা (Opposition) ওয়াক আউট (Walk Out) করেছিলেন। তবে তাতে আমল না দিয়ে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাশ হয়ে গেল নির্বাচনী সংশোধনী বিল ২০২১ (Election Laws Amendment Bill 2021)। কংগ্রেস, টিএমসি, বাম দল, ডিএমকে এবং এনসিপি-র সদস্যরা এই বিলের প্রতিবাদে হাউস থেকে ওয়াকআউট করেন। বিজেপি, জেডি(ইউ), ওয়াইএসআরসিপি, এআইএডিএমকে, বিজেডি সাংসদরা বিলটিকে সমর্থন করে বলেছে যে এটি ভোটার তালিকা থেকে নকল এবং জাল ভোটার নির্মূল করতে সহায়তা করবে।

কংগ্রেস সাংসদরা আধারের সাথে ভোটার তালিকা লিঙ্ক করার বিল নিয়ে আলোচনা করার জন্য লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয়েই স্থগিত নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এই বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, পরিচয় প্রমাণের ক্ষেত্রে ভোটার (Voter) হিসেবে নাম নথিভুক্ত করার জন্য রেজিস্ট্রেশন অফিসার (Registration Officer) আধার কার্ডের (Aadhar Card) নম্বর চাইতে পারেন। এই বিল ভুয়ো ভোটে রাশ টানতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ্বতা নিয়ে আসবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। 

এই বিল সংসদের দুই কক্ষে পাশ করাতে পারলে তখন শুধুমাত্র আধার কার্ড নিয়ে গিয়ে ভোট দেওয়া যাবে। আর ভোটার কার্ড নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক থাকবে না। সেই সঙ্গে ভোটার কার্ডের (Voter Card) সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণ হলে নাগরিকত্ব বা পরিচয়ের প্রমান পত্র হিসেবে আধারও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তের সময় যদি কেউ আধারের নম্বর দিতে না পারেন তাহলেও তাঁর আবেদন বাতিল করা হবে না। মূলত নতুন করে যাঁরা ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করবেন তাঁদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন অফিসার আধার নম্বর চাইতে পারেন। 

কংগ্রেসের দাবি, সরকার সংসদে আলোচনা না করেই পিছনের দরজা দিয়ে বিলটি পাশ করেছে। তাঁরা বিলটি সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানোর দাবি তুলেছেন। তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor) বলেন, “এ দেশে বসবাসের প্রমাণপত্র হিসেবেই আধার আনা হয়েছিল। তা কখনওই নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নয়। তাই ভোটারের আধার কার্ড চাওয়ার অর্থ তাঁর বসবাসের প্রমাণপত্র চাওয়া। এর মাধ্যমে দেশের নাগরিক নন এমন মানুষকেও ভোটাধিকার পাইয়ে দিতে চাইছেন আপনারা।”

তবে কংগ্রেসের গলায় অন্য সুর শোনা গিয়েছিল ২০১৮ সালে। ওই বছরের এপ্রিল মাস, তৎকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ওপি রাওয়াত। তাঁর কাছে গিয়ে আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণের দাবি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি ছিল, ভুয়ো ভোটারের উপর রাশ টানতেই এই সংযুক্তিকরণ অত্যন্ত প্রয়োজন। আর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যখন এই সংক্রান্ত সংশোধনী বিল নিয়ে আসা হল ২০২১ সালে, ঠিক সেই সময় এই বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস। 

Read more Articles on
Share this article
click me!