দূরদর্শনে অযোধ্যার রামমন্দিরের 'ভূমি পূজন' সম্প্রচারের বিরোধিতা করেছিল কমিউনিস্টরা
রাষ্ট্রীয় চ্যানেলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সম্প্রচার নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল
রবিবার তার জবাব দিল বিজেপি ইন্দিরা গান্ধীর একটি ভিডিও দিয়ে
কী আছে সেই ভিডিওতে
দূরদর্শনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে অযোধ্য়ার রামমন্দিরের 'ভূমি পূজন' অনুষ্ঠানের। রাষ্ট্রায়ত্ব চ্যানেলে কেন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে, এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল কমিউনিস্টরা। রবিবার দেওবন্দে ইন্দিরা গান্ধীর ভাষণ দেওয়ার একটি বিরল ভিডিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় শেয়ার করে কমিউনিস্টদের পাল্টা আক্রমণ করল বিজেপি।
ভিডিও-তে উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দে অবস্থিত দারুল উলুম ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিতে দেখা যাচ্ছে। বিজেপি ওই ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করেছে ১৯৮০ সালে ডিডি ন্যাশনাল চ্য়ানেলে ভিডিওটি সম্প্রচারিত হয়েছিল। সেখানে ইন্দিরা বলেছিলেন, 'দারুল উলুম প্রকৃত ইসলামী ঐতিহ্যে ভারত ও বিশ্বকে সেবা করা চালিয়ে যাবে'। দূরদর্শনে রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর সম্প্রচারের যারা বিরোধিতা করছেন, দূরদর্শনে সম্প্রচারিত ইন্দিরা গান্ধীর দেওবন্দ-এর এই ভিডিওটি সম্পর্কে তাঁদের মতামত জানতে চেয়ে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি।
কোনও দল বা ব্যক্তির নাম না করা হলেও বিজেপির এই আক্রমণের লক্ষ্য কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া বা সিপিআই বলেই মনে করা হচ্ছে। তারাই 'ভূমি পূজন' রাষ্ট্রায়ত্ত্ব চ্য়ানেল দূরদর্শনে সরাসরি সম্প্রচারের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছে। প্রসার ভারতী আইন-এর উল্লেখ করে সিপিআই বলেছে, অযোধ্যায় নির্ধারিত ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য দূরদর্শন-কে ব্যবহার করা জাতীয় অখণ্ডতার স্বীকৃত বিধির পরিপন্থী।
সিপিআই-এর দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে যে, দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং সংবিধানের মূল্যবোধ-এর পরিপন্থী এই সম্প্রচার। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে, অযোধ্যার মন্দিরটি দীর্ঘকাল থেকেই সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব ও বিচ্ছিন্নতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। তাই রাষ্ট্রীয় চ্যানেলে এই ধরণের ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের সম্প্রচার করা উচিত নয়। এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকে সিপিআই-এর দেওয়া এই চিঠিকে অবশ্য একেবারেই আমল দিতে রাজি নন, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্য কামেশ্বর চৌপল। রাম মন্দিরের ভূমি পুজো অনুষ্ঠান দূরদর্শনে প্রচার করা নিয়ে কেন যুক্তি না দিয়ে তিনি সরাসরি কমিউনিস্ট রাজনীতিকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন বামেরা ভারতে রাজনৈতিক ভিত্তি হারিয়েছে। চিনে তাদের যে নেতারা বসে আছে, ভারতে তাদেরও দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।