Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ওম ভারতী,জানুন এই অতিথির বিশেষত্ব

১৯৮৬ সালে আরএসএস প্রতিনিধি সভার রেজুলেশনের পর রাম মন্দিরের প্রচারের জোরদার করা হয়। বিজেপি সভাপতি লালকৃষ্ণ আডবানি দেশব্যাপী রথযাত্রার নেতৃত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।

 

Saborni Mitra | Published : Jan 15, 2024 11:23 AM IST / Updated: Jan 15 2024, 05:09 PM IST

সাল ১৯৯০। গুলি চালানোর ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল অযোধ্যা। সেইদিনের সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী শ্রী ওম ভারতীকেও আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। ওম ভারতী জানিয়েছেন সেই দিনে গুলি চালানো শুরু হওয়ার জন্য করসেবকের একটি বড় দল তাঁর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁরই তৎপরতায় প্রাণ বেঁচেছিল তৎকালীন বিশ্বহিন্দু পরিষদের সভারতে অশোক সিংগাল, কোঠারি ভাই-সহ ১২৫ জনের।

সেদিনের ঘটনাঃ

১৯৮৬ সালে আরএসএস প্রতিনিধি সভার রেজুলেশনের পর রাম মন্দিরের প্রচারের জোরদার করা হয়। বিজেপি সভাপতি লালকৃষ্ণ আডবানি দেশব্যাপী রথযাত্রার নেতৃত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই সময় কেন্দ্রে ছিল জনতা দলের শাসন। পাশাপশি আরএসএস, ভিএইচপি এবং বিজেপির নেতৃত্বে বাবরি মসজিদের জায়গায় একটি মন্দির তৈরির প্রচার তুঙ্গে ছিল। জনতা দলের সরকার তার বিরোধিতাও করেছিল। কিন্তু সেই সময় উত্তর প্রদেশে ছিল সমাজবাদী পার্টির সরকার।

লালকৃষ্ণ আডবানির রথ বিহারে আটকে দেওযা হয়েছিল। তবে করসেবকরা অযোধ্যা অভিযান শুরু করে। বিশাল সমাবেশের জন্য উত্তর প্রদেশে জড়ো হয়েছিল। সেইসময়ই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। ৩০ অক্টোবর করসেবকরা বাবরি মসজিদের দিকে অগ্রসর হয়। যদিও তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার ছিল না। করসেবক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। পাশাপাশি অযোধ্যায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জারি করা হয়েছিল কারফিউ। কিন্তু তারপরেও সাধু ও করসেবকরা অযোধ্যার দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময় সেখানে একটি ভয়ঙ্কর ঘটনাও ঘটে। এরপর ২ নভেম্বর পুলিশ ও করসেবকদের মধ্যে আবারও একটি সঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কারণ সেই সময় তারা মসজিদের দিকে এগিয়ে যাওযার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। টানা তিন দিন ধরে টানাপোড়েনের কারণে অবশেষে পুলিশ গুলি চালায়। সেই সময় ১৭ জনের মৃত্যুর হয় বলেও খবর পাওয়া গিয়েছিল । যদিও অটল বিহারী বাজপেয়ী বলেছিলেন সেই সময় ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

কলকাতার কোঠারি ভাই নামে পরিচিত রাম ও শরদও নিহত হয়েছিল। দুই ভাই মৃত্যুর আগে বাবরি মসজিদের ওপর গেরুয়া পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। পরে হনুমান গাড়ি মন্দিরের কাছে তাদের দুই ভাইয়ের দেহ পাওয়া গিয়েছিল। স্থানীয়দের দাবি দুই ভাইকে একটি বাড়ি থেকে টেনে বাইরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।

Read more Articles on
Share this article
click me!