আজ রথযাত্রা। আর আজকের এই শুভ তিথিতে জগন্নাথদেব বলরাম ও শুভদ্রাকে নিয়ে যাত্রা শুরু করবে মামাবাড়ির উদ্দেশ্যে। রথযাত্রা উৎসব সারা দেশে বিরাট আকারে পালন করা হলেও, পুরীর রথযাত্রা কিন্তু আলাদা রকমের ঐতিহ্য বহন করে। কারণ ওড়িশা রথযাত্রাই অন্যতম প্রধান উৎসব।
আর পুরীর এই রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রত্যেক বছরই বিরাট উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এরজন্য দেশ-বিদেশ থেকে বহু ভক্তের সমাগমও হয়ে থাকে। আর সেইকারণেই বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয় কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ওপরেও। আর সেইকারণেই মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল সংখ্যক পুলিশবাহিনী।
বহুদিনের অপেক্ষার পর রথযাত্রার শুভ দিনে সকার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে রথযাত্রাকে ঘিরে নানারকম আচার অনুষ্ঠান। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুয়ারে সকাল থেকে প্রায় হাজার হাজার পূর্ণার্থীরা একজোট হয়েছেন এই পুণ্যভূমিতে অর্থাৎ বাদাদন্দ বা গ্র্য়ান্ড রোডে, যেখান থেকেই জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার তিন বিশালাকার রথ টেনে নিনয়ে যাওয়া হবে গুন্ডিচা মন্দিরের উদ্দেশ্যে। শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের সময়সূচী অনুসারে, পুজোর সকল আচার-অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বিকাল ৪টে থেকে রথের রশিতে টান দিতে পারবেন অগণিত তীর্থযাত্রীরা।
ইতিমধ্যেই সকাল ৬টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গল আরতি। সকাল ৬টা বেজে ১০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাইলামা, এবং সকাল সাড়ে ৬টায় তদাপালাগি এবং রসা হোমের মতো আচার অনুষ্ঠানগুলি সম্পন্ন করা হয়ে গিয়েছে। পূণ্যভুমির চারিদিক 'হরি বোল' ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, প্রথা অনুসারে, পুরীর রাজা বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের পর একটি সোনার ঝাঁটা দিয়ে পথ পরিষ্কার করে দেন। আর ঠিক তারপরই ঈশ্বর সুদর্শনের 'পহন্দি-র পর জগন্নাথ, বলরাম এবং শুভদ্রাকে তাঁদের আলাদা রথে বসিয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয় মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে।